পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R Q ধৰ্ম্মজীবন না ; প্রেম সংশয়ের অঙ্গুলি স্পর্শও সহিতে পারে না। আমি চলিলাম।” এই বলিয়া ঈরস অন্তহিত হইয়া গেলেন। সেই শোকে সাইকী ক্ষিপ্তপ্ৰায় হইয়া ঈরসের অন্বেষণে দেশ বিদেশে एडवभoी कड्रिड व्लव्निका । এই আখ্যায়িকাটী যে কবি রচনা করিয়াছিলেন, তিনি যে মানব হৃদয়ের গভীর তত্ত্ব বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন তাহাতে আর সন্দেহ নাই । প্রেমের স্বভাবই এই যে ইহাকে পরীক্ষা করিলে, সন্দেহ করিলে, আর ইহা থাকে না । দেখি, দেখি প্ৰেম কিরূপ, ইহা যদি একবার বলিলে, তবেই প্ৰেম আন্তহিত হইল । ঈরস অন্ধকার ভিন্ন আলোকে কখনও সাইকীর নিকট আসিতেন না। ইহার তাৎপর্ম্য এই প্ৰেম অদৃশ্য রাজ্যে বাস করে। চক্ষে যতদূর দেখা যায়, প্ৰেম প্ৰেমাস্পদের চরিত্রে, তদপেক্ষা আরও অনেক সৌন্দর্ঘ্য ও সাধুতা দেখিয়া থাকে ; প্ৰেম বিনাপ্ৰমাণে বিশ্বাস স্থাপন করে । এই জন্যই উক্ত হইয়াছে প্রেম রাত্রির অন্ধকারে আসে এবং আত্মপরিচয় দানে বিমুখ। একবার সংশয়ের ধ্বনি উখিত কর, অমনি ’প্রেম আর থাকিবে না। একবার বল—“কই প্ৰেম ?” অমনি ব্ৰহ্মাণ্ডে প্ৰতিধ্বনি শুনিবে৷-“নাই প্ৰেম।” প্রেমের অস্তিত্বে সন্দেহ করিও না, প্ৰেমকে পরীক্ষা করিতে চাহিও না, ভোগ করিয়া যাও প্রচুর প্ৰেম পাইবে। পরীক্ষা করিতে যাও, যাহা ভোগ করিতেছ। তাহাও হারাইবে । প্ৰেম দেখিতে ও প্রেমের শক্তি অনুভব করিতে হইলে, প্ৰেমকে-“অস্তি”,-আছে বলিতে হয়। আমরা সংসারে প্রতিদিন ইহার ভুরি ভুরি