পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থর্ম কি ধাৰ্ম্মিক কে । Wo ও মহম্মদের দৌত্যে বিশ্বাস করে কিনা ? যদি দেখা যায়। সে ব্যক্তি ঐ সকল বিশেষ মতে বিশ্বাসী, তাহা হইলেই তৎ তৎ ধৰ্ম্মের আচাৰ্য্যগণ মনে করেন যে, সে দীক্ষিত হইবার উপযুক্ত। ধৰ্ম্মের বিচার করিতে গিয়া মতের প্রতি অতিরিক্ত দৃষ্টি রাখাতে জনসমাজের অনিষ্ট হইয়াছে। মানবচিন্তার স্বাধীনতার হ্রাস হইয়াছে ; এবং মানবচরিত্রের উন্নতি হইতে পারে নাই। দ্বিতীয়, ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে অনেকের ভাব এই যে গ্ৰন্থ বিশেষে যে সকল বিধি ও নিষেধ নির্দিষ্ট হইয়াছে, অবহিতচিত্তে তাহার অনুগত হইয়া চলাই ধৰ্ম্ম । এইভাবে হিন্দুগণ বেদের, খ্ৰীষ্টীয়গণ বাইবেলের এবং মুসলমানগণ কোরাণের অনুসরণ করিয়া থাকেন। ইহারও অনিষ্ট ফল জগতের ইতিবৃত্তে দেখিতে পাওয়া গিয়াছে। প্ৰথম অনিষ্ট ফল এই, ইহাতে মানুষের দৃষ্টিকে নিকটস্থ, প্ৰাণস্বরূপ ও প্রতি মুহুর্তের উপদেষ্ট স্বরূপ ঈশ্বর হইতে তুলিয়া ইতিহাসে ফেলিয়া দিয়াছে। মুক্তিদাতা ঈশ্বর তোমার অন্তরে, প্রতি মুহুর্তে তোমার পরিত্ৰাতা হইয়া নিকটে রহিয়াছেন,-এই মহাসত্যের পরিবর্তে পূর্বোক্ত মতাবলম্বিগণ বলিয়া থাকেন, “মানবের পরিত্রাণের জন্য যাহা বলিবার ঈশ্বর তাহা একবার বলিয়া চুকিয়াছেন, এখন যদি, পরিত্ৰাণ চাও, ইতিহাসের অমুক পৃষ্ঠা আন্বেষণ কর, অমুক গ্ৰন্থ পাঠ কর।” এইরূপে মানবের পরিত্রাণ গ্ৰন্থ-সাপেক্ষ হইয়াছে। ধৰ্ম্ম লাভ করিতে হইলে একটা প্ৰাচীন ভাষা পড়িতে হইবে ও বিশেষ বিশেষ টীকাকৰ্ত্তার শরণাপন্ন হইতে হুইবে । এই কারণে, এই মতে একদল