পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>9R (g क्षन्ौवन লক্ষ্যকে নষ্ট করে না। এইরূপে চতুর ও নিপুণ ব্যক্তিরাই সকল বিভাগে স্বীয় স্বীয় উদ্দেশ্য সিদ্ধ করিয়া লয়। ] ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে নূতন নিয়ম কিছুই নাই। চতুর বিষয়ী বিষয়কে যেরূপে দেখে ও রক্ষা করে, ধৰ্ম্মকে সেই ভাবে যিনি দেখেন ও রক্ষা করেন তিনিই ধাৰ্ম্মিক। ধৰ্ম্মকে যদি সেইরূপ মূল্যবান মনে হয়, তাহা হইলে লোকে ইহার জন্যও একাগ্ৰচিত্ত হয়। কিন্তু ধৰ্ম্মের বিষয় যত লোকে শ্রবণ করে, ধৰ্ম্মের বাহ সাধনে যত লোক নিযুক্ত থাকে, তাহদের মধ্যে অতি অল্পসংখ্যক ব্যক্তি ঈশ্বরকে এইরূপ মহামূল্য ধন বলিয়া অন্বেষণ করে। ইহা দেখিয়াই ঋষিগণ বলিয়াছেন—“তঁহার প্রকৃত জ্ঞাতা দুলভ এবং নিপুণ ব্যক্তি ভিন্ন অপরে তঁহাকে লাভ করিতে পারে न ।।” ইহার মধ্যে আর একটী কথা আছে। চিত্তের একাগ্ৰতার পক্ষে ধৰ্ম্মকে ও ঈশ্বরকে মহামূল্য জ্ঞান করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি অনুরাগের যোগ থাকাও আবশ্যক। অনুরাগের যোগ ভিন্ন মানুষ ধৰ্ম্মসাধনে আনন্দের আস্বাদন পায় না। আনন্দের আস্বাদন না পাইলেও চিত্তের পূর্ণ একাগ্রত হয় না। অনুরাগের যোগ হইলেই সাধন সংক্রান্ত সমুদায় ব্যাপার মানুষের মিষ্ট লাগিতে থাকে। মন তখন পরের অভিজ্ঞতার ভার বহন করিয়া তৃপ্ত না থাকিয়া সাক্ষাৎভাবে ঈশ্বর-চরণে উপনীত হইবার জন্য ব্যাকুল হয়। প্রেমের আকাঙক্ষা অসীম। প্রেম প্রেমাম্পদকে নিকটে ও প্ৰাণে না পাইলে সুস্থির হইতে পারে না । প্রেমের পক্ষে পরোক্ষ ধৰ্ম্ম অসহনীয় ও অসম্ভব । ।