পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এষান্য পরম সম্পৎ । “ðD O সে কি এমন কাৰ্য্য করে যদ্বারা তাহার ধনোেপার্জনের ব্যাঘাত হয় ? সে সেই স্থানেই যায়, যেখানে তাহার। ধনো পাৰ্জনের সুবিধা আছে, সেইরূপ সম্বন্ধেই আবদ্ধ হয়, যাহাতে তাহার ধনো পাৰ্জনের আশা আছে । এমন কি তাহার গাৰ্হস্থ্য এবং সামাজিক জীবনও অনেক পরিমাণে সেই সর্বপ্ৰধান ভাব দ্বারা অনুরঞ্জিত হয়। একজন এরূপ ব্যক্তির বাড়ীতে যাও, দুই ঘণ্টা বাস কর, তাহার পরিবার পরিজনন্দিগের আলাপে, দাসদাসীদিগের আচরণে, শিশুদিগের সরল কথোপকথনে জানিতে পরিবে, সে গৃহ, সে পরিবার, ধন-লালসার উপরে প্রতিষ্ঠিত। তাহাদের চিন্তাতে অর্থলালসা, কথাবার্তাতে অর্থলালসা, আকাঙক্ষাতে অর্থলালসা । তাহারা আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই সেই এক বিষয়ের জন্য সকল অসুবিধা সহ করে, সকল ক্লেশ বহন করে। পূর্বোক্ত যুক্তির অনুসরণ করিলে ইহা স্পষ্টই অনুভব করা যায় যে, যে সাধক পরমেশ্বরকে যথার্থ সম্পদ বলিয়া মনে করেন, তিনি কখনই তঁহাকে হৃদয় হইতে দুরে রাখিয়া চিন্তা ও কাৰ্য্য করিতে পারেন না । ঈশ্বর-চিন্তা স্বতঃই সেই সাধকের সকল কাৰ্য্যে প্রবিষ্ট হয়, এবং তঁাহার সমগ্র জীবনকে ব্যাপ্ত করে । তিনি নিজের গাৰ্হস্থ্য ও পারিবারিক জীবনকেও তদুপরি প্ৰতিষ্ঠিত করিয়া থাকেন । স্বর্ণকার যেমন নিজ সন্তানদিগকে অলঙ্কার নিৰ্ম্মাণের কাজ শিখাইয়া দিয়া, এই ভাবিয়া সন্তুষ্ট হয় যে ইহাদিগকে এমন কিছু দিয়া গেলাম যদ্বারা ইহারা সংসারে দাড়াইতে পরিবে, তেমনি তিনি নিজ সন্তানদিগকে এই ধৰ্ম্মধন দিয়া মনে করেন, ইহাদিগকে পরম সম্পত্তি Y VO