পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O R ধৰ্ম্মজীবন । করিতে পারে। সত্যানুরাগ, ন্যায়পরতা, সংযম, সকলি স্বাভাবিক ভাবে ইহাতে প্ৰফুটিত হইয়া থাকে। কেবল যে সুখাসক্তি ও ভয়ই আত্মার একমাত্র বন্ধন তাহা নহে ; ধৰ্ম্মপথের যাত্রীদিগের পক্ষে আরও অনেক প্রকার বন্ধন আছে। এমন কি, শাস্ত্ৰ, গুরু ও বিধি, যাহা ধৰ্ম্ম-সাধনের সহায়তার জন্য নির্দিষ্ট হইয়াছে, তাহাও অনেক সময়ে বন্ধনের কাৰ্য্য করিয়া থাকে । যে ব্যক্তি সত্যকে সাক্ষাৎভাবে জানিয়াছে তাহার পক্ষে ইহারা সহায়, কিন্তু যে ব্যক্তি তাহ জানে নাই, তাহার পক্ষে ইহারা বন্ধন-স্বরূপ । জগতে সকল বিদ্যা ও সকল জ্ঞানের পক্ষে নিয়ম এই যে, প্রত্যক্ষ জ্ঞান মুক্তি ও স্বাধীনতাকে আনিয়া দেয়, এবং পরোক্ষ জ্ঞান মানুষকে বন্ধনের মধ্যে রাখে। দৃষ্টান্তস্বরূপ মনে কর, বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান বিষয়ে অনেক তত্ত্ব আবিস্কৃত হইয়াছে, বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতগণ সে সমুদায়কে স্বীয় স্বীয় গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন । কেবল যে সেই তত্ত্বগুলিকে তাহারা গ্রন্থে নিবদ্ধ করিয়াছেন তাহা নহে, কিন্তু তাহদের পরীক্ষার প্রণালীও নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। তাহদের উদ্দেশ্য এই যে বিদ্যার্থিগণ তৎ, তৎ গ্রন্থের সাহায্যে নিজে নিজে পরীক্ষা করিবেন। ও সাক্ষাৎভাবে প্ৰকৃতির সন্নিধানে উপস্থিত হইয়া জ্ঞানলাভ করিবেন। কিন্তু যদি কেহ আলস্য বা - ঔদাসীন্য বশতঃ প্ৰকৃতিকে সাক্ষাৎভাবে না দেখে, তবে তাহাকে গ্ৰন্থ ও গুরুর উপরেই সর্বদা নির্ভর করিতে হয় ; সর্বদাই ভাবিতে হয়, এ বিষয়ে কোন গ্রন্থে কি বলিয়াছে বা কোন জ্ঞানী কি নির্দেশ