পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rob 邻可预gT可可! ও আন্দোলনের মধ্যে মানবাত্মা যদি একবার সেই সত্যজ্যোতি দর্শন করে, তাহা হইলে অভয়াপদ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। এই যে সত্যাশ্রয়-লাভ-জনিত মানব-চিত্তের আশাপূর্ণ সন্তোষের অবস্থা তাহাকেই নিবৃতি বলা যায়। এ কথাতে এরূপ কেহ মনে করিবেন না যে, ধৰ্ম্মের ভূমিতে আরোহণ করিলে আর মানব-জীবনে সংগ্ৰাম থাকে না | এতদেশের ধৰ্ম্মসাধকগণ একপ্রকার শান্তির প্রয়াসী যাহার অপর নাম সংগ্রাম-রাহিত্য । আত্মার সংগ্রাম রহিত নিক্রিয় অবস্থাকেই তাহারা প্রার্থনীয় মনে করেন ; এবং তঁহারা যে কিছু সাধন-প্ৰণালীর উদ্ভাবন করিয়াছেন, সে সকলের একই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে নিলিপ্ত, নিম্পূহ ও নিক্রিয় হওয়া । কিন্তু ভক্তিমােগািবলম্বিগণ আর একপ্রকার শান্তির প্রয়াসী । তাহারা বলেন-জীবনের সকল প্ৰকার পরীক্ষা ও আন্দোলনের মধ্যে অাশা ও প্ৰেম যদি হৃদয়কে পরিত্যাগ না করে, যদি সত্যস্বরূপের সত্যজ্যোতি আমাদের চক্ষু হইতে অন্তহিত না হয়, তাহা হইলেই আমরা সুখী । যেদেশে ধৰ্ম্মের বাস সে দেশে এই প্ৰকার সুখ সাধকচিত্তে সর্বদাই বিদ্যমান । ধৰ্ম্ম কি এ বিষয়ে অনেক মতভেদ দৃষ্ট হয়। কোন কোনও ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের মতে ধৰ্ম্ম এমন কতকগুলি কাৰ্য্য যদ্বারা স্বৰ্গবাসের উপযুক্ত হওয়া যায়, ব্ৰা কৰ্ম্মভোগ হইতে নিস্কৃতি পাওয়া যায়; কাহার কাহারও মতে ধৰ্ম্ম এমন কতকগুলি আচরণ যদ্দ্বারা কুপিত ঈশ্বরের কোপ শাস্তির উপায় বিধান হয় ; কিন্তু আমাদের মতে ধৰ্ম্ম সেই আধ্যাত্মিক