পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মানন্দ ও ধৰ্ম্মবল ৷ R8vo আকাঙক্ষার উদয় হইয়াছিল। চৈতন্যদেব সেই আকাঙক্ষা হৃদয়ে ধারণ করিয়া অভূদিত হইলেন। দ্বিতীয়তঃ, মহাজনগণের জীবন আলোচনা করিলে তাঁহাদের চিত্তের অদ্ভুত একপ্রবণতারও যথেষ্ট প্রমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। বুদ্ধ যে কি নিৰ্বাণ মুক্তির মন্ত্র ধরিলেন, তাহা চিরজীবন তাহার জপমালা হইয়া রহিল ! যৌবনে যে কথা বলিয়া প্রচার আরম্ভ করিলেন, বাৰ্দ্ধক্যে মৃত্যুর দিনেও সেই কথা মুখে রহিল। মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে শিষ্যদিগকে যে দুই চারিটীি কথা বলিলেন, তাহাও সেই কথা !--“সর্বপ্রযত্নে আপনাদের মুক্তি আপনার সাধন কর।” যীশুর জীবনেও তাহাই । তিনি যে কি স্বৰ্গরাজ্যের ভাব হৃদয়ে পাইলেন, যে তাহ আর তাহাকে ছাড়িল না ! সেই নেশাতেই জীবন কাটিয়া গেল ! যে দিন লোকে তঁহাকে বন্দী করিয়া লইয়া যাইতেছে, তখনও তিনি সেই নেশাতে আছেন!—ভাবিতেছেন স্বৰ্গরাজ্য পৃথিবীতে অবতীর্ণ হইতেছে। এ কি প্রকার বাতুলতা ! বাতুলকে পুলিশ প্রহরী দ্বারা পরিবেষ্টিত করিয়া লোকে বাতুলালয়ে লইয়া যাইতেছে, সে হয়ত ভাবিতেছে আমি লক্ষ্ণৌ-এর নবাব আর এই সকল লোক আমার শরীররক্ষক ভৃত্য। ইহাও কি কতকটা সেই প্ৰকার নাহে ? “এক ঈশ্বর ভিন্ন ঈশ্বর নাই” এই নেশাতে মহম্মদকে এমনি ধরিয়াছিল যে মৃত্যুর দিন পৰ্যন্ত সেই একই কথা। বহুদিনের সংগ্রামের পর যে দিন মক্কা নগর জয় করিয়া মক্কাতে প্ৰবেশ করিলেন, সে দিন সেই জয়ের মুহুর্তে অপর , চিন্তা তাহার হৃদয়ে