পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপসা ব্ৰহ্ম বিজিজ্ঞাসম্ব। RV) করিয়া দিবারাত্রি যাপন করিতেছেন; ইহাদের কঠোর সাধনা ও দৃঢ়-প্ৰতিজ্ঞতা দেখিলে স্তব্ধ হইয়া থাকিতে হয়। ধৰ্ম্মার্থে নরনারী যে সকল ক্লেশ সহ কারিয়াছেনও অদ্যাপি করিতেছেন, তাহা স্মরণ করিলে চিত্ত বিস্ময়ে পূর্ণ হইয়া যায়। একবার একজন লোক ইষ্টদেবতার প্রসাদনার্থ এই ব্ৰত লইয়াছিলেন, যে হরিদ্বার হইয়া সেতুবন্ধ রামেশ্বর পর্য্যন্ত সমগ্ৰ ভারতভুমির দৈর্ঘ্যটা নিজের শরীর দ্বারা মাপিয়া মাপিয়া যাইবেন। डिनि নয়। বৎসরে শুইয়া শুইয়া এই সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করিয়াছিলেন। ইহারা সকলে তপস্যা বোধেই এই সকল কাৰ্য্য করিয়াছেন এবং অদ্যপি করিতেছেন । যাহার এই প্ৰকার তপস্যা করিয়াছেন বা করিতেছেন, তঁহারা সচরাচর জনসমাজ হইতে অবস্থিত হইয়া এই সকল তপস্যা করিয়াছেন । কিন্তু তপঃ শব্দের আর এক, অর্থ আছে-চিত্তের একাগ্ৰতা । চিত্ত বিক্ষেপের নানা কারণের মধ্যে চিত্তকে একাগ্ৰ করিয়া ঈশ্বরেরস স্বত্তা ও সান্নিধ্যে অৰ্পণ করাও তপস্যা । ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তিগণ জনসমাজের মধ্যে থাকিয়াও যে এই প্রকার তপস্যা করিয়া থাকেন, আমরা অনেক সময় তাহা লক্ষ্য করি না । শীত গ্রীষ্ম সহ্য করিতে পারা, বা কোনও প্ৰকার শারীরিক ক্লোশে অভিভূত না হওয়া, মানসিক বলের কৰ্ম্ম তাঁহাতে সন্দেহ নাই ; এবং এ সাধনে যাহারা কৃতকাৰ্য্য হন। তঁহারাও যে প্ৰশংসার যোগ্য তাহাতেও সন্দেহ নাই, কিন্তু বিশৃঙ্খল ও স্বেচ্ছাচারী প্রকৃতিকে শৃঙ্খলার অধীন করা, অলস ও সুখপ্রিয় চিত্তকে সদানুষ্ঠানে রত করা, আচঞ্চল ভাবে জীবনের ক্ষুদ্র ও মহৎ