পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাল্পে সুখমন্তি । SON 9) উৎপন্ন হইয়া থাকে। কেবল তাহাও নহে, ইহার উপরে আবার ঈশ্বর-সহবাসের সুখ। অদ্ভুত প্ৰকৃতি সম্পন্ন আমরাত্মার পূর্ণ তৃপ্তির বিষয় তিনি। তঁহাতে সত্য, ন্যায়, প্রেম ও পবিত্রতা পূৰ্ণ মাত্রাতে বিরাজিত সুতরাং তঁহাকে পাইলেই আমাদের প্রকৃতির পূর্ণ চরিতার্থতা। যেমন ক্ষুধার সময় অন্ন লাভ করাতে তৃপ্তি, পিপাসার সময় বারি লাভ করাতে তৃপ্তি, তেমনি তাঁহাকে লাভ করিয়া অমরাত্মার তৃপ্তি। এই জন্য ঋষিরা বলিয়াছেন—“যে বৈ ভূমা তৎসুখং|” কিন্তু সেই অনন্তের চিন্তাতেই মানবের আনন্দ একথা বলিয়া ঋষিরা ক্ষান্ত হন নাই। তঁাহারা বলিলেন-“নাল্পে সুখমস্তি” —অল্পেতে সুখ নাই। এই কথা আমরা দুই প্রকার অর্থে গ্ৰহণ করিতে পারি। প্রখম, যাহা ক্ষুদ্র ও পরিমিত, যাহা অনিত্য ও ক্ষণস্থায়ী তাহাতে সুখ নাই। কারণ তাহা এক দিন বিনাশ প্ৰাপ্ত হয়। যাহার সীমা আমি দেখিতে পাই, তাহা আমার অপেক্ষা ক্ষুদ্র, আমার চিত্ত তাহাতে পরিতৃপ্ত হইতে পারে না ; মন তাহার উপরে নির্ভর করিতে পারে না ; তাহার হস্তে আপনাকে অৰ্পণ করিতে পারে না ; সুতরাং তাহা আমাদের আত্মার বিশ্রাম-ভূমি নহে। ইহার আর এক প্রকার অর্থ হইতে পারে তাহা এই-যাহ অল্প অর্থাৎ, আমাদের আত্মা যাহা চাহে তাহ অপেক্ষা কম, তাহাতে আত্মার সুখ নাই। সত্য বস্তু লাভ করিবার জন্য আমাদের আত্মার আকাঙক্ষা, সুতরাং যাহা সত্য নহে কেবল ছায়া মাত্ৰ, তাহা লইয়া আমাদের আত্মা সুখী হয় না। জগতের মহা