পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOOR थुन्डीबन् । তম্য হয় কেন ? একই ঈশ্বরের নাম ত দুই ব্যক্তিই করিয়া থাকেন, একই ধৰ্ম্মসমাজে ত দুইজনেই রহিয়াছেন এবং একই উপদেশ ত দুইজনেই শ্রবণ করেন, তবে এরূপ প্ৰভেদ কেন লক্ষ্য করি ? এতদ্বারা এই কথারই প্ৰমাণ পাওয়া যায় যে, সকল লোকে প্রার্থনার সমাধিকারী নহে। ভাষা রচনার শক্তি মানব মাত্রেরই আছে, সুতরাং ইহা দেও, তাহা দেও বলিয়া ঈশ্বরের নিকটে সকলেই প্রার্থনা জানাইতে পারে ; কিন্তু সকল প্রার্থনা প্রার্থনা নয় এবং সকলে প্রার্থনার অধিকারীও নহে। তাহা যদি হইত। তবে ঈশ্বরের নামের এত গৌরব থাকিত না ; ধৰ্ম্মসাধনেরও প্রয়োজনীয়তা থাকিত না । এক অর্থে ইহা সত্য যে সকলেই প্রার্থনার অধিকারী। কারণ এমন পাপী কেহই হইতে পারে না, যে ব্যক্তি প্রার্থনা করিবার অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবে !! অবশ্য একথা স্বীকার করি যে, ঈশ্বরের আরাধনা করিবার, বা তাহার সেবা করিবার বা তাহার স্বরূপ জানিবার পক্ষে অধিকার সকলের থাকে না । বিশেষ সাধনা দ্বারা এ সকল অধিকার লাভ করিতে হয় । কিন্তু প্রার্থনা সুম্বন্ধে বরং একথা বলিতে পারা যায় যে, যে যত দরিদ্র, যে যত দুর্বল, যে যত পতিত, সেই তত প্রার্থনার অধিকারী। যেমন দীন হীন ব্যক্তিগণেরই ধনীদিগের দয়াতে অধিকার, তেমনি পাপী তাপীদিগেরই পতিতপাবন পরমেশ্বরের কৃপাতে অধিকার। যে সন্তানটা গৃহে আছে। তদপেক্ষা যেটী বিপথে গিয়াছে, তাহাকে উদ্ধার করিবার জন্যই পিতার অধিক ব্যগ্ৰতা ; সুতরাং সেটীর পিতার কৃপাতে অধিক অধিকার।