পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిey Q-foss হইবেন ? দেখুন। তবে বর্তমান রাজাদিগের প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরের ভাব কেমন আমাদের কাৰ্য্যের অন্তরালে প্রচ্ছন্নভাবে স্থিতি করিতেছে ! চক্ষু যেমন আকাশে বিস্তৃত পদার্থকে দেখে, সেরূপ উজ্জ্বলভাবে যদি আমরা ঈশ্বরকে দেখিতে পাই, তাহা হইলে কি বিশ্বাস ও নির্ভরের ভাব আমাদের হৃদয়ে প্রবিষ্ট হইয়া থাকে না ? আমরা তাহাতে সত্য বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি কি না। তাহা তিনটী প্রশ্নের দ্বারা বিচার করা যাইতে পারে। প্রথম — আমরা তঁহার সান্নিধ্য অনুভব করি কি না ? দ্বিতীয়-তঁাহার বিধাতৃত্বের প্রতি ঐকান্তিক নির্ভর আছে কি না ? তৃতীয় তঁহাকে নিয়ন্ত ও অধিপতিরূপে অনুভব করি কি না ? আমরা তাহাকে কিরূপে অনুভব করিতেছি ? একজন তাহার সত্তাতে বিশ্বাস করিয়াও তাঁহাকে দূরে রাখিতে পারে। তিনি কায্যকারণ-শৃঙ্খলায় বিশ্বাস করিয়াও র্তাহাকে দূরে দেখিতে পারেন। তিনি কাৰ্য্যকারণ-শৃঙ্খলার অপর পার্শ্বে আছেন এরূপ ভাবিতে পারেন । যন্ত্র-নিৰ্ম্মাতা যেরূপ যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহা চালাইয়া দিয়া নিজে দুরে যায়, তেমনি তিনি জগৎ নিৰ্ম্মাণ করিয়া ইহাকে চালাইয়া দিয়া দূরে গিয়াছেন, ইহা কেহ মনে করিতে পারেন। আমরা কি তঁহাকে সেইরূপ দূরস্থ বলিয়া অনুভব করিতেছি, অথবা তাহাকে নিকটস্থ ও আত্মার আশ্রয়ভূমি বলিয়া অনুভব করিতেছি ? জীবনের সুখ দুঃখ পাপ প্রলোভনের মধ্যে যদি সেই পরমাশ্রয় পরমেশ্বরের সান্নিধ্য অনুভব করিতে না পারা যায়, আত্মাকে তঁহার ক্রোড়ে নিহিত।