পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মের বহিঃপুর ও অন্তঃপুর । , © ᏄᏩ উৎস হইতে ঐ বিচিত্র বর্ণের কাৰ্য্য সকল উৎসারিত হইতেছে, তাহাদের প্রকৃতি কে নির্দেশ করিতে পারে ? যেমন কতিপয় বিজ্ঞানবিৎ ব্যক্তি কিয়ৎ পরিমাণে প্ৰকৃতির সাজঘরে প্রবেশ করিয়াছেন, ও অন্তঃপুরের সংবাদ কিয়ৎ পরিমাণে দিতে পারেন, তেমনি মনোবিজ্ঞানবিৎ দার্শনিকগণ কিয়ৎ পরিমাণে মানব মনের অন্তঃপুরের সংবাদ দিতে সমর্থ। প্ৰাকৃতিক বিজ্ঞান যে সকল বিষয় লইয়া আলোচনা করে, তাহাদিগকে দেখা যায়, স্পশ করা যায়, পরিমাণ করা যায়, ওজন করা যায়, সুতরাং সে সকল গবেষণার ফলসম্বন্ধে অধিক মতদ্বৈধ হইতে পারে না । যতই আমরা প্ৰাকৃতিক রাজ্য পরিহার করিয়া অন্তররাজ্যে প্রবেশ করি, এবং সূক্ষম ও অতীন্দ্ৰিয় মানসিক প্রবৃত্তি ও ভাব সকলকে গবেষণার অধীন করি, ততই নিঃসন্দিগ্ধ ফলে উপনীত হওয়া দুষ্কর হইয়া উঠে। এই কারণে মনোবিজ্ঞানবিৎ দার্শনিকগণ অদ্যাপি ঐক্যমত লাভ করিতে সমর্থ হন নাই। এতদ্দেশে ও অপরাপর দেশে দার্শনিকদিগের বাদ প্ৰতিবাদে জাতীয় সাহিত্য পূর্ণ হইয়া গিয়াছে। বহুকাল হইল এদেশে শঙ্কর, কপিল, চাৰ্বাক প্রভৃতি দর্শনকারগণ যে সকল মত অবলম্বন করিয়া বাদ প্ৰতিবাদে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন, অদ্যাপি ইউরোপখণ্ডে সেই সকল মতের অনুরূপ মতাবলম্বী ব্যক্তিগণ বাকযুদ্ধে প্ৰবৃত্ত রহিয়াছেন। তাহা হইলেও একথা স্বীকার করিতে হয় যে এই সকল মনস্তত্ত্ব আলোচনার ফলস্বরূপ, মানবাত্মার স্বরূপ ও ধৰ্ম্মাদি সম্বন্ধে কতিপয় গুঢ়তত্ত্ব প্ৰকাশিত হইয়াছে। যাহার এই সকল তত্ত্ববিষয়ে অভিজ্ঞ তাহারা