পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soዓ8 ধৰ্ম্মজীবন। . . . . রেখাটী যেমন ততই অধিকতর উজ্জ্বল রূপে দেখিতে পাওয়া। যায়, তেমনি জ্ঞানালোকের উজ্জ্বলতা অজ্ঞতার কৃষ্ণবৰ্ণ রেখাটীকে যেন আরও অধিকতর উজ্জ্বল রূপে দেখাইয়া দিতেছে। বিজ্ঞানবিৎ ব্যক্তি মাত্ৰেই বলিয়া থাকেন যে, বিজ্ঞান যত জটিল সমস্যার সদুত্তর দিতে সমর্থ হইয়াছে। তদপেক্ষা অধিক সংখ্যক জটিল ও অমীমাংসিত সমস্যাকে চিন্তাপথে উপস্থিত করিয়াছে। সকল বিভাগেই বিজ্ঞান এমন সকল প্রশ্ন দেখিতেছে, যাহার সদুত্তর দেওয়া ইহার সাধ্যায়ত্ত নহে। অতএব মানব বিধাতার সাজঘরে প্রবেশ করিতে সমর্থ হইয়াছে একথা বলিলে অমার্জনীয় ধৃষ্টতা দোষে দোষী হইতে হয় । আমি এরূপ অসঙ্গত কথা বলিতে পারি না । তবে সামান্য প্ৰাকৃতিক পদার্থের জ্ঞানেরও যে একটা বহিঃপুর ও একটা অন্তঃপুৱা আছে, তাহ। প্রদর্শন করিবার জন্যই পূর্বোক্ত বিষয়ের উল্লেখ করা গিয়াছে। যেমন প্রকৃতি রাজ্যে একটা বহিঃপুর ও একটা অন্তঃপুর দেখা যাইতেছে, তেমনি মানব-মনেরও একটা বহিঃপুর ও একটা অন্তঃপুৱা আছে। ঐ যে বাহিরের মানুষ দেখিতেছি, যে অন্ন পান গ্ৰহণ করিতেছে, হর্ষ বিষাদ ভোগ করিতেছে, এ জগতে মিত্ৰত শক্ৰতা করিতেছে, অর্থে পাৰ্জন, পরিবার পালন, বিষয় বাণিজ্য যুদ্ধ বিগ্ৰহ প্ৰভৃতি করিতেছে, "ওটা মানুষের বহিঃপুৱা বা বাহিরের পিঠ ; ভিতর পিঠে ও মানুষটা কিরূপ তাহা কে জানে ? ঐ সকল কাৰ্য্যের পশ্চাতে কোন কোন শক্তি, কোন কোন ভাব প্রচ্ছন্ন আছে তাহা কে বলিতে পারে ? হৃদয়ের গভীরতম অন্তরতম তলে যে সকল উৎস লুক্কায়িত আছে, এবং যে সকল