পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মসাধকের সুখতোগ । ዓ ዓ লালসা জন্মিল। তাঁহাতে তিনি নিজের প্রতি এত বিরক্ত হইলেন যে, আপনার সুখাসক্ত মনকে শাস্তি দিবার জন্য একটি উপায় অবলম্বন করিলেন । পথে যাইতে যাইতে দেখিতে পাইলেন যে, একজন লোক একটী ময়দার কলে উষ্ট্র যুড়িয়া দিয়া ময়দা পিষিতেছে। তিনি ঐ ব্যক্তির নিকট উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞাসা । করিলেন, “তুমি উষ্ট্রটীর জন্য সমস্ত দিনে কত মজুরী দাও ?” সে ব্যক্তি সমস্ত দিনে যত মজুরী দেয় তাহা নির্দেশ করিল। তখন তিনি বলিলেন, “ইহার অৰ্দ্ধেক মজুরীতে আমি সমস্ত দিন তোমার কল টানিয়া দিব, একদিন আমাকে টানিতে দাও ।” সে ব্যক্তি তাহতে সম্মত হইয় তাহাকে কলে যুড়িয়া দিল। তিনি সমস্ত দিন কল টানিয়া যে মজুরী পাইলেন তাহা দ্বারা সেই উত্তম ফল ক্রয় করিয়া আনিলেন। এবং আহার করিতে বসিলেন । তখন মনকে তিরস্কার করিয়া বলিতে লাগিলেন,—“ওরে সুখাসক্ত অধম মন ! ফের যদি কোনও বিষয় লালসা কর, এইরূপ করিয়া তাহার উপাৰ্জন করিতে হইবে।” এই মুসলমান সাধুটী যে ভাবে একটী সামান্য সুখ লালসার জন্য আপনাকে শাস্তি দিয়াছিলেন, এরূপ দৃষ্টান্ত ধৰ্ম্মসাধকদিগের মধ্যে বিরল নহে। আমাদের দেশের সুবিখ্যাত সন্ন্যাসী ও যোগীদিগের ত কথাই নাই, অপরাপর দেশেও এরূপ দৃষ্টান্ত প্রচুর পরিমাণে দেখা গিয়াছে। খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের ইতিবৃত্ত পাঠ করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, ইহার সন্ন্যাসী ও সন্নাসিনীগণও সময়ে সময়ে এইরূপে আপনাদিগকে অনেক