পাতা:ধর্ম্মজীবন (ষষ্ঠ খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8th q°ff-ቖስቐጓ ! প্রভাবেই ভাবী ভারতের ধৰ্ম্মজীবন পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যাইবে । যে সকল সত্য ইহার প্রতিকূল, তাহা আপনাপনি খসিয়া পড়িবে। মানবপ্রকৃতির স্বাভাবিক রক্ষণশীলতা বশতঃ, বিশেষতঃ ধৰ্ম্মভাবের রক্ষণশীলতা বশতঃ, অনেক সময়ে দেখা যায়, মানব জীবনের অপর সকল বিভাগে পরিবর্তন ঘটিয়াও ধৰ্ম্মমতের ও ধৰ্ম্মের আচরণের পরিবাৰ্ত্তন ঘটে না । এই কারণেই আমরা দেখিতে পাইতেছি যে, জগত যখন আলোকে ভরিয়া গিয়াছে, তখন ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণ এক এক খণ্ড অন্ধকার বুকে ধারণ করিয়া পোষণ করিতেছেন । কিন্তু ইহা চিরদিন চলিতে পারে না। সাম্যবিধানের নিয়মানুসারে একদিন সমতা আসিবেই আসিবে। যিনি মানবকে উন্নতির মুখে ছাড়িয়া দিয়াছেন,তিনিই মানব প্ৰকৃতিতে এই স্বাভাধিক রক্ষণশীলতা দিয়াছেন। নতুবা অতীতের কিছুই থাকে না ; মানব এক সময়ে বহু শ্রমে ও আয়াসে যাহা কিছু উপাৰ্জন কৰ্বিপ্নয়ছে, তাহা বিনষ্ট হইয়া যায়। সকল বিভাগেই দেখা যায় বিবৰ্ত্তনের প্রক্রিয়া বড় ধীর গতিতে চলে। একজন রোগী ঘোর বিকারে আচ্ছন্ন ছিল, ঔষধ প্রয়োগ করা হইয়াছে, ঔষধের কার্য্যও আরম্ভ হইয়াছে। কিন্তু বিকারের সকল লক্ষণ কি একেবারে কাটে ? যখন ঔষধ কাৰ্য্য করিতেছে, তখনও আমরা দেখিতে পাই, বিকারের কোন কোন লক্ষণ রহিয়াছে । মানবাত্মা এক, ইহার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মহল নাই। এ কথা বলিবার আর একটা উদ্দেশ্য আছে। অনেক সময়ে মানুষ জীবনকে দ্বিখণ্ডিত করিয়া সাধন করিয়া থাকে । মনে করে ধৰ্ম্ম আমার জ্ঞানে থাক, বা ভাবে থাক, অনুষ্ঠানে গিয়া কাজ নাই । আমি ধৰ্ম্মের উদার ও আধ্যাত্মিক মত জ্ঞানে ধারণ করিব, ভাবে ঈশ্বরের উপাসনা করিব, কিন্তু অনুষ্ঠানে বিশ্বাসানুসারে আচরণ করিব না। এইরূপে মানুষ অনেক বিষয়ে জীবনের মধ্যে একটা আলি দিয়া কাজ করিবার চেষ্টা করে ; মনে করে কাৰ্য্যের ফল জীবনের এক বিভাগেই বন্ধ থাকিবে। তাহ থাকে না। একজন মনে করে, কৰ্ম্ম স্থানে যখন থাকিব, তখন মিথ্যা প্ৰবঞ্চনা প্ৰভৃতি গণিব না, কিন্তু গৃহ-পরিবারে, বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ঠিক ব্যবহার করিব। তাহ ফলে দাঁড়ায় না। মানুষ প্রত্যেক আচরণের দ্বারা আপনাকে গড়ে। যে মিথ্যাচারী হয়, মিথ্যাচার নিবন্ধন তাহার প্রকৃতির এমন পরিবাৰ্ত্তন ঘটে, যাহাতে সৰ্ব্ববিভাগেই মিথ্যাচারী