পাতা:ধর্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । €t > — ফেলিয়াছেন। বৰ্ত্তিকী-উত্তেজনার দ্বারা দীপ-শিখ উজ্জ্বল করিতে গিয়া তাহ নিৰ্ব্বাণ করিয়া বসিয়াছেন। অশিক্ষিত চিকিৎসকের ন্যায় স্ফোটক অস্ত্র করিতে গিয় অসাবধানত প্রযুক্ত প্রধান রক্ত-বাহিনী নাড়া ছেদন করিয়া ফেলিয়াছেন। মশক মারিতে চপেটাঘাত করিলেন, মশক উড়িয়া অন্য শরীরে বসিল, চপেটাঘাত প্রথম ব্যক্তির শরীরকে বেদনাযুক্ত করিল মাত্র। অনেক ধৰ্ম্ম-সংস্কারক এইরূপ অবস্থায় পতিত হইয়। এই ধৰ্ম্মরূপ মন্দিরের মনোহর শোভার বৃদ্ধির পরিবর্তে হানি করিয়াছেন। দীর্ঘসূত্ৰী হইয়া ধীরে ধীরে একটা কাৰ্য্য যদি স্নচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ করা যায়, তাহাও বরং উত্তম, তথাচ উদ্যমশীলতা দেখাইতে গিয়া ব্যস্তত বশতঃ কার্য্যের হানি করা কর্তব্য নহে। বৃদ্ধ ঋষিগণের নিকট জ্ঞান-গৰ্ভ উপদেশ গ্রহণ পূৰ্ব্বক ধীরে ধীরে সাধারণের হিতসূর্থে বোধ-সুলভ উপায় দ্বারা তাহাদের গভীর ভাব ভারতে ம்ே করাই এখন আবিষ্ঠক । আমরা আমাদের প্রচর্তব্য ধৰ্ম্মের নাম “আৰ্য্য ধৰ্ম্ম” বা "হিন্দু ধৰ্ম্ম" দিলে দিতে পারিতাম ; কিন্তু যখন বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, সংহিতা, তন্ত্র প্রভৃতি আমাদিগের প্রাচীন ধৰ্ম্মতত্ত্ব-পুর্ণ গ্রন্থাদি পর্য্যালোচনা করা যায়, তখন কুত্রাপি "ধৰ্ম্ম” এই প্রশস্ত শব্দ ভিন্ন “হিন্দু" বা “আধ্য ধৰ্ম্ম” এরূপ শব্দ দেখিতে পাওয়া যায় না। কেবল ইংরাজি, পারস্য, ও অধুনাতন হিন্দী ও বাঙ্গালা গ্রন্থাদিতে এইরূপ শব্দ লিখিত আছে মাত্র । “হিন্দু ধৰ্ম্ম” বা "আৰ্য্য ধৰ্ম্ম” এ দুচী নাম আধুনিক, এজন্য আমরা আমাদিগের চিরপ্রচলিত ও