চতুর্থ অধ্যায়। నిని জীবনে সর্বের্বাচ্চদরের আধ্যাত্মিক ভাব রক্ষা করা। আমরা উহার দ্বারা ইহাই প্রমাণ করিতে চাই যে, ধৰ্ম্ম কেবল ভূয়ো কথামাত্র নহে, কিন্তু এই জীবনেই ধর্মের সর্বাঙ্গ সম্পূর্ণরূপে কাৰ্য্যে পরিণত করা যাইতে পারে। ইহাই তিতিক্ষ—সমুদয় সহ করা— কোন বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ না করা । আমি নিজে এমন লোক দেখিয়াছি, যাহারা বলেন, “আমি আত্মা—আমার নিকট ব্রহ্মাণ্ডের আবার গৌরব কি ? মুখ দুঃখ, পাপ পুণ্য, শীত উষ্ণ, এ সকল আমার পক্ষে কিছুই নহে।” ইহাই তিতিক্ষা—দেহের ভোগমুখের জন্য ধাবমান হওয়া নহে । ধৰ্ম্ম কি ? ধৰ্ম্ম মানে কি এইরূপ প্রার্থনী করিতে হইবে যে, “আমাকে এই দাও, ওই দাও ?” ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে এ সকল আহাম্মকি ধারণা। যাহারা ধৰ্ম্মকে ঐরাপ মনে করে, তাহাদের ঈশ্বর ও আত্মার যথার্থ ধারণা নাই। মদীয় আচাৰ্য্যদেৰ বলিতেন, “চিল শকুনি খুব উচুতে উড়ে, কিন্তু তার নজর থাকে গোভাগাড়ে।” যাহা হউক আপনাদের ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় যে সকল ধারণা আছে, তাহার ফলটা কি বলুন দেখি। রাস্ত সাফ করা আর উত্তমরূপ অন্নবস্ত্রের যোগাড় করা ? অন্নবস্ত্রের জন্য কে ভাবে ? প্রতি মুহূৰ্ত্তে লক্ষ লোক আসিতেছে, লক্ষ লোক য়াইতেছে—কে গ্রাহ করে ? এই ক্ষুদ্র জগতের সুখ দুঃখ গ্রাহের মধ্যে আনেন কেন ? যদি সাহস থাকে, উহাদের বাহিরে চলিয়া যান। সমুদয় নিয়মের বাহিরে চলিয়া যান, সমগ্র জগৎ উড়িয়া যাকৃ—আপনি একলা আসিয়া দাড়ান। “আমি নিরপেক্ষ সত্তা, নিরপেক্ষ জ্ঞান ও নিরপেক্ষ আনন্দস্বরূপ—লেtংহং, সোহহং । * *
পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১০৭
অবয়ব