পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ਅੱaੋ3ੇ ਦੋ | বহুরূপে প্রকাশিত এক সত্তা । আমরা দেখিয়াছি, বৈরাগ্য বা ত্যাগই এই সমুদয় বিভিন্ন যোগের মূল ভিত্তি। কৰ্ম্মী কৰ্ম্মফল ত্যাগ করেন। ভক্ত সেই সৰ্ব্বশক্তিমান ও সর্বব্যাপী প্রেমস্বরূপের জন্য সমুদয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রেম ত্যাগ করেন । যোগী যাহা কিছু অনুভব করেন, তাহার যাহা কিছু অভিজ্ঞতা সমুদয় পরিত্যাগ করেন, কারণ, তাহার যোগশাস্ত্রের শিক্ষা এই যে, সমুদয় প্রকৃতি, যদিও আত্মার ভোগ ও অভিজ্ঞতার জন্য, কিন্তু উহ অবশেষে তাহাকে জানাইয়া দেয় যে, তিনি প্রকৃতিতে অবস্থিত নহেন, কিন্তু প্রকৃতি হইতে নিত্যস্বতন্ত্র । জ্ঞানী সমুদয় ত্যাগ করেন, কারণ, জ্ঞান শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত এই যে, ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান কোনকালেই প্রকৃতির অস্তিত্ব নাই । আমরা ইহাও দেখিয়াছি, এই সকল উচ্চতর বিষয়ে ‘ইহাতে কি লাভ”—এ প্রশ্ন করাই যাইতে পারে না । লাভালাভের প্রশ্ন জিজ্ঞাসাই এখানে অস্বাভাবিক আর যদিই এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হয়, তাহা হইলেও আমরা ঐ প্রশ্নট উত্তমরূপে বিশ্লেষণ করিয়া কি পাই ? লাভ মানে কি ? না—সুখ—যে জিনিষে লোকের সাংসারিক অবস্থার উন্নতি সাধন না করে, যাহাতে তাহার সুখ বৃদ্ধি না করে, তদপেক্ষ যাহাতে তাহার বেশী মুখ, তাহাতেই তাহার