পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় । So X

  • A****^^^^&***^ృగిv^* AeeAMeMAMAMAMAMAMAMM MAeeS ^^^^^^^

বেশী লাভ, বেশী হিত । সমুদয় বিজ্ঞান ঐ এক লক্ষ্য সাধনে অর্থাৎ মনুষ্যজাতিকে মুখী করিবার জন্য চেষ্টা করিতেছে আর যাহাতে বেশী পরিমাণ সুখ আনয়ন করে, মানুষ তাহাই গ্রহণ করিয়া যাহাতে অল্প সুখ, সেট ত্যাগ করে। আমরা দেখিয়াছি, সুখ হয় দেহে বা মনে অথবা আত্মায় অবস্থিত । পশুদিগের এবং পশুপ্রায় অনুন্নত মনুষ্যগণের সমুদয় মুখ দেহে । একটা ক্ষুধাৰ্ত্ত কুকুর বা ব্যাঘ্র যেরূপ তৃপ্তির সহিত আহার করে, কোন মানুষ তাহা পারে না। সুতরাং কুকুর ও ব্যাত্রের স্বখের আদর্শ সম্পূর্ণরূপে দেহগত । মানুষে আমরা একটু উচ্চস্তরের সুখ দেখিয়া থাকি—মানুষ জ্ঞানালোচনায় সুখী হইয়া থাকে। সৰ্ব্বোচ্চস্তরের সুখ জ্ঞানীর—তিনি আত্মানন্দে বিভোর থাকেন। আত্মাই তাহার সুখের একমাত্র উপকরণ। অতএব জ্ঞানীর পক্ষে এই আত্মজ্ঞানই পরম লাভ বা হিত ; কারণ, ইহাতেই তিনি পরম সুখ পাইয়া থাকেন। জড় বিষয়সমূহ বা ইন্দ্রিয়চরিতার্থতা তাহার নিকট সর্বের্বাচ্চ লাভের বিষয় হইতে পারে না, কারণ, তিনি জ্ঞানে যেরূপ সুখ পাইয়া থাকেন, উহাতে তক্রপ পান না। আর প্রকৃত পক্ষে জ্ঞানই সকলেরই একমাত্র লক্ষ্য, আর আমরা যত প্রকার সুখের বিষয় অবগত আছি, তন্মধ্যে উহাই সর্বোচ্চ সুখ । যাহারা অজ্ঞানে কাৰ্য্য করিয়া থাকে, তাহারা দেবগণের পশুতুল্য। এখানে দেৰ অৰ্থে জ্ঞানী ব্যক্তিকে বুঝিতে হইবে। যে সকল ব্যক্তি যন্ত্রবৎ কাৰ্য্য ও পরিশ্রম করিয়া থাকে, তাহারা প্রকৃত পক্ষে জীবনটাকে