পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ミo ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । ভালবাসে, সেই হেতু জগৎ তাহার প্রিয়। দেবগণকে যে লোকে ভালবাসে, তাহা সেই দেবগণের জন্য নহে, কিন্তু যেহেতু সে আত্মাকে ভালবাসে, সেই হেতু দেবগণ তাহার প্রিয় । অধিক কি, কোন বস্তুকে যে লোকে ভালবাসে, তাহা সেই বস্তুর জন্য নহে, কিন্তু তন্মধ্যে যে আত্ম বিদ্যমান তাহার জন্যই সে ঐ বস্তুকে ভালবাসে । অতএব এই আত্মার সম্বন্ধে শ্রবণ করিতে হইবে, তৎপরে মনন অর্থাৎ বিচার করিতে হইবে, তারপর নিদিধ্যাসন অর্থাৎ উহার ধ্যান করিতে হইবে । হে মৈত্রেয়ি, আত্মার শ্রবণ, আত্মার দর্শন, আত্মার সাক্ষাৎকার দ্বারা এই সমুদয় যাহা কিছু, সবই জ্ঞাত হয় ।” এই উপদেশের তাৎপৰ্য্য কি ? এ এক অদ্ভুত রকমের দর্শন। আমরা জগৎ বলিতে,যাহা কিছু বুঝি, সকলের ভিতর দিয়াই আত্মা প্রকাশ পাইতেছেন । লোকে বলিয়া থাকে, সর্বপ্রকার প্রেমই স্বার্থপরতা—স্বার্থপরতার যতদূর নিম্নতম অর্থ হইতে পারে, সেই অর্থে সকল প্রেমই স্বার্থপরতাপ্রসূত ; যেহেতু আমি আমাকে ভালবাসি, সেই হেতু অপরকে ভালবাসিয়া থাকি । বৰ্ত্তমানকালেও অনেক দার্শনিক আছেন, র্যাহাদের মত এই যে, স্বার্থই জগতে সকল কার্য্যের একমাত্র প্রবৃত্তিদায়িনী শক্তি। একথা এক হিসাবে সত্য আবার অন্য হিসাবে ভুল। এই আমাদের *আমি সেই প্রকৃত ‘আমি বা আত্মার ছায়া মাত্র, যিনি আমাদের পশ্চাতে রহিয়াছেন আর সসীম বলিয়াই এই ক্ষুদ্র ‘আমির উপর ভালবাসা অন্যায় ও মন্দ বলিয়া বোধ হয় । সমগ্র ব্রহ্মাও

  • 、*、**ヘ ۶۳حمی\۔Aم.ھمبر \ممل۷ص” ws