ষষ্ঠ অধ্যায়। > R) AMAeeeSeeeeAMMAMSeASAeeAeeSeeA SAeeSeAeeAeeSASAS SSAS SSAS SSASAeeSeiS SSASAS SSAS SSAS eAeeAMMMeAASAMAAAS স্বরূপ আত্মার প্রতি যে ভালবাসা, তাহাকেই স্বার্থপরতা বলিয়া বোধ হয়, যেহেতু উহা সসীমভাবে দৃষ্ট হইতেছে। এমন কি, স্ত্রীও যখন স্বামীকে ভালবাসে, সে জানুক বা নাই জামুক, সে সেই আত্মার জন্যই স্বামীকে ভালবাসিতেছে । জগতে উহা স্বার্থপরতারূপে ব্যক্ত হইতেছে বটে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উহা আত্মপরতা বা আত্মপ্রীতির ক্ষুদ্র অংশমাত্র । যখনই কেহ কিছু ভালবাসে, তাহাকে সেই আত্মার মধ্য দিয়াই ভালবাসিতে হয় । এই অক্সাকে জানিতে হইবে । যাহারা আত্মার স্বরূপ না জানিয়া উহাকে ভালবাসে, তাহদের ভালবাসাই স্বার্থপরতা । যাহারা আত্মাকে জানিয়া উহাকে ভালবাসে, তাহাদের ভালবাসায় কোনরূপ বন্ধন নাই, তাহারা সাধু। কেহই ব্রাহ্মণকে ব্রাহ্মণের জন্য ভালবাসে না কিন্তু ব্রহ্মণের মধ্য দিয়া যে আত্মা প্রকাশ পাইতেছেন, সেই আত্মাকে ভালবাসে বলিয়াই সে ব্রাহ্মণকে ভালবাসে । ‘ব্রাহ্মণ র্তাহাকে পরিত্যাগ করেন, যিনি ব্রাহ্মণকে আত্মা হইতে পৃথক দেখেন ; ক্ষত্রিয় তাহাকে পরিত্যাগ করেন, যিনি ক্ষত্রিয়কে আত্মা হইতে পৃথক দেখেন ; লোকসমূহ বা জগৎ তাহাকে ত্যাগ করে, যিনি জগৎকে আত্মা হইতে পৃথক দেখেন ; দেবগণ র্তাহাকে পরিত্যাগ করেন, যিনি দেবগণকে আত্মা হইতে পৃথক বলিয়া বিশ্বাস করেন। সকল বস্তুই তাহকে পরিত্যাগ করে, যিনি র্তাহাদিগকে আত্মা হইতে পৃথকরূপে দর্শন করেন । এই ব্রাহ্মণ, এই ক্ষত্রিয়, এই লোকসমূহ, এই দেবগণ, এমন কি, যাহা কিছু জগতে আছে, সবই আত্মা।” '
পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১২৯
অবয়ব