পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূচনা । 6: يجده ليسيمبيديهيدي محيميديك গো, কুকুর ও অন্যান্য পশুগুণ এইরূপ বর্তমান লইয়াই সস্তুষ্ট, আর তাহতেই তাহাদিগকে পশু করিয়াছে । অতএব যদি মানব বৰ্ত্তমান লইয়া সস্তুষ্ট থাকে এবং জগদতীত সত্তার সমুদয় অমু সন্ধান একেবারে পরিত্যাগ করে, তবে মানবজাতিকে পশুর ভূমিতে পুনরাবৃত্ত হইতে হইবে। ধৰ্ম্ম—জগদতীত সত্তার অমুসন্ধানই—মানুষ ও পশুতে প্রভেদ করিয়া থাকে। এ কথাটা অতি সুন্দর কথা যে, সকল প্রাণীর মধ্যে মানুষই স্বভাবতঃ উপরের দিকে চাহিয়া দেখে ; আর সকল জস্তুই স্বভাবতঃ নীচের দিকে ঝুঁকিয়া থাকে। এই উদ্ধদৃষ্টি, উদ্ধদিকে গমন ও পূর্ণত্বের অনুসন্ধানকেই পরিত্রাণ’ বা ‘উদ্ধার’ বলে, আর যখনই মানব উচ্চতর দিকে গমন করিতে আরম্ভ করে, তখনই সে এই পুরিত্রাণস্বরূপ সত্যের ধারণার দিকে আপনাকে অগ্রসর করে । পরিত্রাণ— অর্থ, বেশভূষা বা গৃহের উপর নির্ভর করে না, উহা মানবের মস্তিষ্কস্থ আধ্যাত্মিক ভাব-রত্বরাজির তারতম্যের উপর নির্ভর করে । উহাতেই মানবজাতির উন্নতি, উহাই ভৌতিক ও মানসিক সর্বববিধ উন্নতির মূল ; ঐ প্ররোচক শক্তিবলে, ঐ উৎসাহ-বলেই মানবজাতি সম্মুখে অগ্রসর হইয়া থাকে। o ধৰ্ম্ম প্রচুর অন্নপানে নাই, অথবা স্বরম্য হৰ্ম্ম্যেও নাই । বারস্বার ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে আপনারা এই আপত্তি শুনিতে পাইৰেন, “ধৰ্ম্মের দ্বারা কি উপকার হইতে পারে ? উহা কি দরিত্রের দারিদ্র্য দূর করিতে পারে ?” মনে করুন, উহা যেন, তাহ পারে ন, তাহা হইলেই কি ধৰ্ম্ম অসত্য বলিয়া প্রমাণিত হইল , নে ," t’

  • *