ষষ্ঠ অধ্যায় । ృశిa বেশী অভিব্যক্তি লইয়া । আমাদের নিজেদের জীবনের দৃষ্টান্তই লউন । ছেলেবেলা কত জিনিষকে আমরা ভাল বলিয়া মনে করি, বাস্তবিক সেগুলি মন্দ আবার কত জিনিষকে মন্দ বলিয়া দেখি, বাস্তবিক সেগুলি ভাল। আমাদের ধারণার কেমন পরিবৰ্ত্তন হয় । একটা ভাব কেমন উচ্চ হইতে উচ্চতর হইতে থাকে । আমরা এক সময়ে যাহা খুব ভাল বলিয়া ভাবিতাম, এখন আর তাহা তক্রপ ভাল ভাবি না । এইরূপে ভাল মন্দ আমাদের মনের বিকাশের উপর নির্ভর করে, বাহিরে উহাদের অস্তিত্ব নাই । প্রভেদ কেবল মাত্রার তারতম্যে । সবই সেই আত্মারই প্রকাশমাত্র। উহা সকলেতেই প্রকাশ পাইতেছে, কেবল উহার প্রকাশ অল্প হইলে আমরা উহাকে মন্দ বলি ও স্পষ্টতর হইলে ভাল বলি । কিন্তু আত্মা স্বয়ং শুভাশুভের অতীত। অতএব জগতে যাহা কিছু আছে, সকলকেই প্রথমে ভাল বলিয়া ধ্যান করিতে হইবে, কারণ, উহার সেই পূর্ণস্বরূপের অভিব্যক্তি। তিনি ভালও নন, মন্দও নন ; তিনি পূর্ণ আর পূর্ণ বস্তু কেবল একটই হইতে পারে। ভাল জিনিষ অনেক প্রকার হইতে পারে, মন্দও অনেক থাকিতে পারে, ভালমন্দের মধ্যে প্রভেদের নানাবিধ মাত্রা থাকিতে পারে, কিন্তু পুর্ণ বস্তু কেবল একমাত্র ; ঐ পূর্ণ বস্তু বিশেষ বিশেষ প্রকার আবরণের মধ্য দিয়া দৃষ্ট হইলে বিভিন্ন মাত্রীয় ভাল বলিয়া আমরা অভিহিত করি, অন্য প্রকার আবরণের মধ্য দিয়া উহা প্রকাশিত হইলে উহাকে আমরা মন্দ বলিয়া অভিহিত করি। এই বস্তু সম্পূর্ণ ভাল ও এই বস্তু সম্পূর্ণ মন্দ ASA SSASAS SeeeeSAAA AeeSJESeAeeMeMeeAAAS حي
পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৩৫
অবয়ব