সপ্তম অধ্যায় । S8Gr এই সমগ্র জগৎ হইয়াছেন। অদ্বৈতবাদী—“ঈশ্বর আত্মস্বরূপ আর জগৎ যেন তাহার দেহস্বরূপ আর সেই দেহের পরিণাম হইতেছে”—বিশিষ্টদ্বৈতবাদীর এই সিদ্ধান্ত স্বীকার করেন না । তিনি বলেন, তবে আর ঈশ্বরকে এই জগতের উপাদান কারণ বলিবার কি প্রয়োজন ? উপাদান কারণ অর্থে যে কারণটা কার্য্যরপ ধারণ করিয়াছে । কার্য্য কারণের রূপান্তর বই আর কিছুই নহে। যেখানেই কাৰ্য্য দেখা যায়, তথায়ই বুঝিতে হইবে, কারণই রূপান্তরিত হইয়া অবস্থান করিতেছে । যদি জগৎ কাৰ্য্য হয়, আর ঈশ্বর কারণ হন, তবে এই জগৎ অবশ্যই ঈশ্বরের রূপান্তরমাত্র। যদি বলা হয়, জগৎ ঈশ্বরের শরীর, আর ঐ দেহ সঙ্কোচ প্রাপ্ত হইয়া সূক্ষমাকার ধারণ করিয়া কারণ হয় ও পরে আবার সেই কারণ হইতে জগতের বিকাশ হয়, তাহাতে অদ্বৈতবাদী বলেন, ঈশ্বর স্বয়ংই এই জগৎ হইয়াছেন। এক্ষণে একটা অতি সূক্ষম প্রশ্ন আসিতেছে। যদি ঈশ্বর এই জগৎ হইয়া থাকেন, তবে সবই ঈশ্বর। অবশ্য, সবই ঈশ্বর। আমার দেহও ঈশ্বর, আমার মনও ঈশ্বর, আমার আত্মাও ঈশ্বর। তবে এত জীব কোথা হইতে আসিল ? ঈশ্বর কি লক্ষ লক্ষ জীবরূপে বিভক্ত হইয়াছেন ? সেই অনন্ত শক্তি, সেই অনন্ত পদার্থ, জগতের সেই এক সূত্ত কিরূপে বিভক্ত হইতে পারেন ? অনন্তকে বিভাগ করা অসম্ভব । তবে কিরূপে সেই শুদ্ধস্বরূপ এই জগৎ হইলেন ? যদি তিনি জগৎ হইয়া থাকেন,তবে তিনি পরিণামী, আর পরিণামী হইলেই তিনি প্রকৃতির অন্তর্গত অার প্রকৃতির অন্তর্গত যাহা কিছু, To e
পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৫৩
অবয়ব