পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

یا گاهی تا بحامی چند - দ্বিতীয় অধ্যায় । \ల> SAMAMAAAS AAAAASAAAAeAAAA ASAMAeAMSAASAASAAAS পরিণত হয়, আর আজকালকার বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান যতদূর চলিয়াছে, তাহাতে ঐ মতের পোষকতা করিতেছে বলিয়াই বোধ হয়। উদাহরণস্বরূপ—ইথার-সম্বন্ধীয় আধুনিক মতের কথা ধরুন। যদি বলেন, ইথারও পরমাণুপুঞ্জের সমবায়ে উৎপন্ন, তাহা হইলে তাহাতে কিছুতেই সমস্যার মীমাংসা হইবে না। আরও স্পষ্ট করিয়া এই বিষয় বুঝান যাইতেছে। বায়ু অবশ্য পরমাণুপুঞ্জে গঠিত। আর আমরা জানি, ইথার সর্বত্র বিদ্যমান, উহ! সকলের মধ্যে ওতপ্রোত ভাবে বিদ্যমান ও সর্ববব্যাপী । বায়ু এবং অন্যান্য সকল বস্তুর পরমাণুও যেন ঐ ইথারেই ভাসিতেছে। যদি আবার ইথার পরমাণুসমূহের সংযোগে গঠিত হয়, তাহা হইলে দুইটা ইথারের পরমাণুর মধ্যেও কিঞ্চিৎ অবকাশ থাকিবে । ঐ অৰকাশ কিসের দ্বারা পূর্ণ ? আর র্যাহা কিছু ঐ অবকাশ ব্যাপিয়া থাকিবে, তাহার পরমাণুগণের মধ্যেও ঐরূপ অবকাশ থাকিবে। যদি বলেন, ঐ অবকাশের মধ্যে আরও সূক্ষমতর ইথার বর্তমান, তাহা হইলে সেই ইথার পরমাণুর মধ্যেও আবার অবকাশ স্বীকার করিতে হইবে । এইরূপে সূক্ষমতর, সূক্ষমতম ইথার কল্পনা করিতে করিতে শেষ সিদ্ধান্ত কিছুই পাওয়া যাইবে না—ইহাকে অনবস্থা দোষ বলে। অতএব পরমাণুবাদ চরম সিদ্ধান্ত হইতে পারে না। সংখ্যমতে প্রকৃতি সৰ্ব্বব্যাপী, উহ! এক সৰ্ব্বব্যাপী জড়রাশিস্বরূপ, তাহাতে—এই জগতে যাহা কিছু আছে—সমুদ্বয়ের কারণ রহিয়াছে। কারণ বলিতে কি বুঝায় ? কারণ বলতে ব্যক্ত অবস্থার সূক্ষতর অবস্থাকে বুঝায়