পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - ধৰ্ম্মব্যাখ্যা। [ দ্বিতীয় এবং মিথ্যা কথা। কারণ, তুমি যে সৰ্ব্বদা তোমার ইপ্রিয়, মন ও বুদ্ধি প্রভৃতির সঙ্গে সঙ্গে মাখামাধি রূপে পরমাত্মার অনুভব করিয়া থাক, তাহা পরমাত্মার বিকৃত রূপ মাত্র। অতএব জানা গেল, বুদ্ধি ও মনের দ্বারা নিৰ্ম্মল আত্মজ্ঞান না হইলেও বিকৃতরূপ আত্মজ্ঞান আমাদের সর্বদাই হইয়া থাকে। সুতরাং শাস্ত্র দ্বারাই মীমাংসিত হইল যে, যেখানে আত্মাকে মন, বুদ্ধ্যাদির অবিষয় বলা হইয়াছে, সেখানে আত্মার প্রকৃত । নিৰ্ম্মলস্বরূপ লক্ষ্য করা হইয়াছে। ঐ সকল শ্রীতির তাৎপৰ্য্য এই যে, নিৰ্ম্মল নিত্যশুদ্ধ চৈতন্য স্বরূপ অদ্বিতীয় পরমাত্মা মন বুদ্ধ্যাদির দ্বারা অনুভব করা হয় না ; মন, ধুদ্ধি প্রভৃতির বিলয় হইলেই সেই পরমজ্যোতি পর-সম্বল নিজরূপে প্রকাশিত হয়েন । আর, যে যে শ্রীতিতে মন, বুদ্ধি দ্বারা আত্মার জ্ঞান হওয়ার বিষয় লিখিত আছে, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, মন, বুদ্ধি-প্রভৃতি অন্তঃকরণের দ্বারা আত্মাকে মলিন ভাবে অনুভব করা যাইতে পারে। অতএব আত্মজ্ঞান কথাটি এক প্রকারে নিতান্তু অসম্ভবপর হইলেও অন্য প্রকারে বিলক্ষণ সঙ্গত ও সস্তুবপর, সুতরাং আত্মজ্ঞান হওয়া এবং না হওয়া, উভয়ই সত্য হইল। এখন বিশেষরূপে এ বিষয়টির বিস্তার করা যাইতেছে শ্রবণ কর। - পরমাত্মা যখন অনুৎপন্ন, অবিনশ্বর, ব্যাপকপদার্থ এবং আমাদের শরীরাদি সকল বস্তুরই অন্তর বাহিরে অনুপ্রবিষ্ট ভাবে থাকিয়া, আমারের চেতনতা সম্পাদন করিতেছেন –তিনি আমাদের ভৌতিক দেহেঅস্তুরবাহিরে থাকিয়া ভৌতিকদেহের চেতনতা, ইঞ্জিয়শক্তির অন্তর বাহিরে থাকিয়া, ইঞ্জিয়শক্তির চেতনতা, মনের অন্তর-বাহিরে থাকিয়া, মনের চেতনতা, অভিমানের অন্তর-বাহিরে ধাকিয়া, অভিমানের চেতনতা, বুদ্ধির অস্তুর-বাহিরে থাকিয়া, বুদ্ধির চেতনতা, এবং প্রকৃতির অন্তর বাহিরে থাকিয়, প্রকৃতির চেতনতা সম্পাদন করিতেছেন। “জন্মিল্ দোঁ: পৃথিবী চাপ্তরিক্ষমেতং মনঃ সহপ্রাগৈশ্চ সৰ্ব্বৈ: " (মুণ্ডকোপনিষদ) “এই চৈতন্যস্বরূপ জাস্থাতেই ভূলেী ভুষোলোক স্বলোক এবং জ্ঞানেক্রি কর্শ্বেক্রিয়, প্রাণাদিপঞ্চক মন, জর্তিমান বুদ্ধি ও প্রকৃতি এভৎ সমস্তই ওতপ্রোউভাবে গ্রধিত হইয়া রহিয়াছে। অতএব আমরা তাহাকে কখনও অনুভব