পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । দ্বিতীয় উহার কেবল বর্ণটিকে মনের কাছে প্রথম পৌছাইয়া দিয়া, যতক্ষণে মন ঐ বর্ণটি ধারণা করে, ততক্ষণ বিশ্রাম করিয়া আবার গাড়ীর সহিত সংযুক্ত হইতে যতটুক কাল অতীত হয়, ততটুক কাল ঐ গাড়ীখানি ঠিক সেইখানে থাকে না, সুতরাং চক্ষু আবার আসিয়া তাহাকে দেখিতে পায় না, অগত্যা গাড়ীর দ্বিতীয় অঙ্গের প্রকাশ হওয়া সম্ভবেন, তাই কেবল প্রথমাঙ্গই দেখা যায়। অতএব ইহা স্বীকার্য্য যে, এক সময় দুইঅঙ্গ প্রকাশনা হইয়া ক্রমে ক্রমেই এক এক অঙ্গ প্রকাশ পায়। এখন পল্লবের তৃতীয় অঙ্গ শুন,-পল্লবের দ্বিতীয়াঙ্গ প্রকাশের পর যদি নয়র্দোন্দ্রয় একটুকাল স্থগিত হইয়া মনকে ধারণার অবকাশ দেয়, এবং মনও অন্যদিকে গমন নকরিয়া ঐ পল্লবটি লক্ষ্য করিতে থাকে, তবে সেই অবকাশে মনে পূৰ্ব্ব দৃষ্ট আম্রবৃক্ষের স্মরণ হয়, এবং তৎক্ষণাৎ সেই পূৰ্ব্বে দৃষ্ট পল্লবটির সহিত সন্মুখস্থ পল্লবটির তুলনা করার নিমিত্ত পুনৰ্ব্বার চক্ষু ঐ পল্লবাভিমুখে নিয়োজিত হইয়া সংযুক্ত হয় এবং ঐ দৃশুমান পল্লবটির বর্ণ আর আকৃতিটি পুনৰ্ব্বার মনের নিকট উপস্থিত করিয়া দিয়া একটুক বিশ্রাম করে, এই অবকাশে মন ঐ এখনকার দৃশ্যমান পল্লবটি এবং পূৰ্ব্ব দৃষ্ট সেই পল্লবটি এতদুভয়ের সম্পূর্ণ তুলনা করিয়া দেখে যে উভয়ই ঠিক একই জিনিষ, তখন মন স্থির করে যে “এই টিও আম্রবৃক্ষের পল্লব” । এনিমিত্ত এই অবস্থার নাম উহার তৃতীয় অঙ্গ। দ্বিতীয়াঙ্গ প্রকাশ অপেক্ষায় তৃতীয়াঙ্গ প্রকাশে আরও অধিক সময় পৰ্য্যস্ত মন ক অবকাশ দেওয়া চাই। কারণ এই সময় মনের মধ্যে পূর্বের অপেক্ষায় অধিক অনেকগুলি কাৰ্য্য হয়। প্রথম দৃশুমান পল্লবটির বর্ণও আকৃতি টি ধারণ করা তৎপর পূর্ব দৃষ্ট পল্লবের সহিত তুলনা করা, তৎপর এইটিও আম্রপল্লব বলিয়া স্থির করা, এই তিনটি কাৰ্য্য করিতে হয়। ইহাও চলন্ত গাড়ীদ্বয়ের দৃষ্টাস্তেই বুঝিতে পার। চলন্ত গাড়ী যখন দ্বিতীয়াঙ্গ বিকাশেরই অপেক্ষা করে না, তখন তৃতীয়াঙ্গ প্রকাশের অপেক্ষ করে না, ইহা বলা বাহুল্য মাত্র। এই তৃতীয়াঙ্গ প্রকাশের পরও যদি ইন্দ্রিয়গণ স্থগিত থাকে এবং মন অন্ত বিষয়ে প্রধাবিত না হইয়া সেই পল্লবটকেই লক্ষ্য করিয়া থাকে, তবে যত অধিককাল ঐ অভিনিবেশ থাকিবে ততই আর আর অঙ্গগুলি ক্রমে ক্রমে প্রকাশ পাইতে থাকিবে । হয়ত প্রথমে, কি কারণে -পত্রগুলি ঐক্কপ