পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શજી] - ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ృులు) এইক্ষণে অভ্যাস কি তাহ শুন । * তত্রস্থিতে প্রযত্নোইভ্যাসঃ ” ( পা ১ পাঃ ১৩ স্ব ) বিবেকজানের অবস্থায় চিত্তকে সৰ্ব্বদ রাখিবার নিমিত্ত প্রযত্ন, বীর্য্য, বা উৎসাহের নাম বিবেকদর্শনের অভ্যাস । অভ্যাসের দ্বারা একএকপ্রকার বিবেকদর্শন আপনআপন মাত্রাতুসারে তুল্যমাত্রার নিরোধশক্তি-বিকাশের সাহায্য করে। অর্থাৎ স্বল্প দেহাত্মবিবেক (১৩২ পৃঃ ২১ পং) মৃদুইন্দ্রিয়বৃত্তিনিরোধ (৬৭ পৃঃ ৩ পং) বিকাশের সাহায্য করে, মধ্যম দেহাত্মবিবেক (১৩২ পৃঃ ২২ মধ্যম ইন্দ্রিয়বৃত্তি-নিরোধের সাহায্য করে, এবং অতিমাত্র দেহাত্মবিবেক (১৩১ পৃঃ ২৩ পং) তীব্র ইন্দ্ৰিয়বৃত্তি নিরোধের সাহায্য করে। এইরূপ স্বল্প ইঞ্জিয়-বিবেক মৃন্থ ইন্দ্রিয়নিরোধ, (৭৯ পৃঃ ১৬ পং) এবং অতিমাত্র ইন্দ্ৰিয়াত্মবিবেক, ( ১৩২ পৃঃ ২৬ পং ) তীব্র ইন্দ্ৰিয়নিরোধ বিকাশের বিশেষ সাহায্য করে। ইত্যাদি এই গেল বিবেক দর্শন, এখন বৈরাগ্য কি তাহ শুন—“দৃষ্টামুশ্রবিক-বিষয়-বিতৃষ্ণস্য বশীকার-সংজ্ঞা বৈরাগ্যম” (পাত—(১ পা ১৫ স্ব) যে কোন প্রকার মুখজনক বস্তু বা বিষয় সম্ভবে, তৎসমস্তেরই সন্মুখে উপস্থিতি কালেও তাহার গ্রহণ বা পরিত্যাগ এতদুভয়ে কোন প্রকার ইচ্ছ। না হওয়ার অবস্থাকে বৈরাগ্য বলা যায়। এই বৈরাগ্যের নাম ‘বশাকার।’ পরন্তু, অবাস্তরভেদে, অর্থাৎ এই বৈরাগের অন্তর্গত বৈরাগ্যের বিভাগ করিলে বৈরাগ্য অনেক প্রকার আছে,—একএক প্রকার মুখভোগে বিতৃষ্ণ লইয়া ভিন্ন ভিন্ন এক এক প্রকার বৈরাগ্য বলা যাইতে পারে। দেহের দ্বারা যে কোন প্রকার সুখ ভোগ করা যায়—তাহাতে বিতৃষ্ণ লইয়া দৈহিকবৈরাগ্য’, ইন্দ্রিয়জনিত মুখে বিতৃষ্ণ লইয়। ঐন্দ্রিয়িক-বৈরাগ্য, মানসিক মুখে বিতৃষ্ণা লইয়া মানসিক বৈরাগ্য, আভিমানিক মুখে বিতৃষ্ণাদ্বারা আভিমানিক বৈরাগ্য’, বুদ্ধিগত মুখে বিতৃষ্ণ লইয়া বৌদ্ধ-বৈরাগ্য’, এবং প্রকৃতির সুখে বিতৃষ্ণ দ্বারা ‘প্রাকৃত বৈরাগ্য’ বলা যায়। বসন, ভূষণ, অভ্যঞ্জন, ও পরিকল্মাদিদ্বারা রূপলাবণ্যবৃদ্ধি করিয়া ষে মুখ অনুভব করা ধায় তাহার নাম দৈহিক মুখ ; তদ্বিষয়ে বিতৃষ্ণ হইলে দৈহিকবৈরাগ্য হয়। দশবিধ ইন্দ্রিয়ের দ্বারা যে সকল স্থখ অমুভব করা যায় তাহার প্রতি বিতৃষ্ণার নাম ঐজ্জিয়িকবৈরাগ্য বলা যায়।