পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>૭ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । তৃতীয় হইবে না, দেহ আর আত্মা এই দুয়েরই পরস্পর ভিন্নভাবে অনুভূতি হইবে । অতএব বিবেকস্তান আর আত্মজ্ঞান বিভিন্ন প্রকার জ্ঞান হইল । বিবেকঙ্কান প্রথমতঃ ৬ প্রকারে বিভক্ত। ১ম ;--দেহাত্মবিবেক, ২য়, ইন্দ্রিয়াত্মবিবেক, ৩য়,—মানসাত্মবিবেক, ৪র্থ,—অভিমানাত্মবিবেক, ৫ম,-- বুদ্ধ্যাত্মবিবেক, ৬ষ্ঠ–প্রকৃত্যাত্মবিবেক । স্থূলদেহহইতে চৈতন্যস্বরূপ পরমাত্মার পার্থক্য অন্তভব করা দেহাত্মবিবেক । দশবিধ ইন্দ্রিয়, ও পঞ্চপ্রাণ হইতে আত্মার পার্থক্য অনুভব কর। * ইন্দ্রিয়াত্মবিবেক । মন হইতে আত্মার ভিন্নতা অনুভব করা • মানসায়বিবেক । অভিমান হইতে অত্মিার ভিন্নতা অনুভব করা ‘ অভিমানাত্মবিবেক । বুদ্ধি হইতে আত্মার ভিন্নতা অনুভব “ বুদ্ধ্যাত্মবিবেক’। প্রকৃতি হইতে আত্মার ভিন্নতা অনুভব ' প্রকৃত্যাক্সবিবেক । এই ছয় প্রকার বিবেকের মধ্যে দেহাত্মবিবেক সৰ্ব্বাপেক্ষায় নীচ, তদপেক্ষায় ইন্দ্রিয়াত্মবিবেক উৎকৃষ্ট, তদপেক্ষায় মানসাত্মবিবেক উচ্চ, তদপেক্ষায় অভি. মানায়ুবিবেক উচ্চ, তদপেক্ষায় বুদ্ধাত্মবিবেক উচ্চ, এবং সৰ্ব্বাপেক্ষায় প্রকৃতি-পুরুষবিবেক বা প্রকৃত্যায়ুবিবেক উচ্চতম। আর, ক্রমশঃ নীচনীচ বিবেকজান হইয়া উচ্চউচ্চ বিবেকস্তান সাধন হইয়া থাকে, অর্থাৎ প্রথম দেহাত্মবিবেক সাধিত হয়, তৎপর ইন্দ্রিয়াত্মবিবেক, তৎপর মানসাত্মবিবেক, তৎপর অভিমানাত্মবিবেক সাধিত হয় ইত্যাদি । উক্ত প্রত্যেকবিবেক অল্প, মধ্যম ও অতিশয় মাত্রানুসারে, স্বল্প বিবেক মধ্যমবিবেক, অতিমাত্রবিলেক ইত্যাদিরূপে বিভক্ত হইতে পারে। ভৌতিক দেহ ও পরমাত্মার পার্থক্য সুস্পষ্টরূপ বুঝিতে ন পারিয়া যদি আধঅাধ বুঝিতে পারা যায়, তাহার নাম ‘স্বল্প দেহাত্মবিবেক", আর যদি ঐ পার্থক্য অনেকপরিমাণে অনুভব করা যায় তাহার নাম ‘মধ্যমদেহাত্মবিবেক, যদি সংপূর্ণরূপে দেহ ও আত্মার ভেদ অনুভব করা যায় তাহার নাম “অতিমাত্র দেহাত্মৰিবেক । এইরূপ ইঞ্জিয়, বা প্রাণাদির সহিত পরমাত্মার সম্পূর্ণ ভিন্নতামুভবের নাম “অতিমাত্র ইন্দ্রিয়াত্ম বিবেক এবং ঐ পার্থক্যের অফ ট অনুভবের নাম মধ্যম ইন্দ্ৰিয়াত্মবিবেক, আর কিছুকিছু অনুভব স্বল্পইত্রিয়াতুিক, এইরূপ মানাৱৰিবেক, অভিমানা বিবেকাদি সম্বন্ধেও জানিবে।