পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s 8२ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [তৃতীয় সংস্কারের বল যতই বৃদ্ধি পাইবে, ততই ব্যুত্থানশক্তিকে পরাভব করিতে অধিক সমর্থ হইবে। কারণ যে বৃত্তির পরিষ্করণের বেগ যত অল্প এবং বারের সংখ্যাও যত কম হইবে, ততই সেই শক্তির দুৰ্ব্বলতা হইবে। অতএব নিরোধ-সংস্কারের ঘনত্ব ও বলবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অগত্য ব্যুথান-শক্তিস্করণের সংখ্যা কমিতে থাকিবে,এবং তাহার ধ্বলতা বুদ্ধি হইতে থাকিবে। বুখানশক্তি দুৰ্ব্বল হইলেই নিরোধ-সংস্কারের আধিপত্য বৃদ্ধি পাইবে। নিরোধাদি শক্তির বল বৃদ্ধি পাইলে অগত্যাই বাগান শক্তিকে শীল্প শীঘ্র পরাভব করিয়া ঐ সংস্কারগুলি উদ্দীপ্ত হইয়া উঠিতে পারে। সুতরাং নিরোধাদি সংস্কারগুলির ক্রমে ঘনিষ্ঠত হইতে থাকিবে । * এরূপে, ক্রমে শতশতবার নিরোধশক্তি ও বিবেক, বৈরাগ্যাদি ধৰ্ম্মের অনুশীলন হইতে হইতে তাহদের সংস্কার রাশি সঞ্চিত, বলিষ্ঠ ও ঘনীভূত হইতে হইতে অবশেষে বুখান শক্তির নিতান্ত মৃদ্ভুত হইয়া, হয় ত প্রগাঢ় সমাধি হইয় পড়ে, না হয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ২৩ ঘণ্টাই নিরোধ, বিবেক, বৈরাগ্যাদি পরিস্ফরিত ভাবে থাকে, আর ১ ঘণ্টা মাত্র বুখানশক্তির কাৰ্য্য হইতে পারে। অর্থাৎ একত্রুমেই যে ২৩ ঘণ্টা নিরোধ, আর ১ ঘণ্টা বুখানশক্তির কাৰ্য্য হয় তাহা নহে, কিন্তু প্রতিক্ষণেই হয় ত ২৩ বার নিরোধ ও বিবেক বৈরাগ্যাদিশক্তির পরিষ্করণ হইলে ১ বার মাত্র বুখানশক্তি বিকাশিত হয়। এজন্ত, তাদৃশ মহাত্মাকে বোধ হয়, যেন তিনি একই সময়ে বাহবিষয় এবং আত্মজ্ঞানাদি ধৰ্ম্মরাজ্যে নিমগ্ন। ইহাই জগদগুরু ভগবান বেদব্যাস-দেব বলিয়াছেন, “চিত্তনদী নামোভয়তো-বাহিনী ভবতি, কল্যাণার বহতি পাপায়চ। যাতু কৈবল্যপ্রাগভাব বিবেক-বিষয়-নিয়া সাকল্যাণ বহা, সংসার-প্রাগভাবা অবিবেক বিষয়-নিম্না পাপবহ । তত্র বৈরাগ্যেণ বিষয়-স্রোতঃ খিলীক্রিয়তে বিবেক দর্শনাভ্যাসেন বিবেক-শ্ৰোত উদঘাটতে, ইত্যুভয়াধীন শ্চিত্তবৃত্তি নিরোধঃ” (প, দ, ১ পা, ১২ স্থ, ভাঃ) মনের দুই প্রকার প্রবাহ বা গতি আছে – একটি কল্যাণ-প্রবাহ,-—ধৰ্ম্মপ্রবাহ,—উৰ্দ্ধ-স্রোতস্বিনী-গতি, আর একটি পাপপ্রবাহ-দুঃখজনৰুপ্রবাহ-অধঃস্রোতস্বিনী-গতি । চিত্ত যখন বিবেক