পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ড ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । `(న দক্ষিণগ-চুম্বক-শক্তি এবং উত্তর চুম্বক শক্তি এতদুভয়ে পরস্পর মিলিবাব নিমিত্ত চেষ্টা করে, এবং ক্রমে ঘনিষ্ট হইতে থাকে, অথচ সঙ্গেই ঐ চুম্বক লৌহথওকেও লইয়া যাইতে থাকে, ক্রমে দক্ষিণগ-চুম্বক-শক্তি মাব উত্তলগ-চুম্বকশক্তি গিয়া পরস্পরে মিলিত হয়, অগত্যা তৎসঙ্গে ২ তাহাদের অালম্বনলৌহ-খওময়ও যুগপৎ পরস্পরে মিলিত হয়। জলেজলে মৃত্তিকায়মৃত্তিকায় বিমিশ্রণকালে যে সন্মিলন দেখিতে পাও, তাহাও এই শক্তিদ্বয়েরই মিলন-জনিত। প্রত্যেক জলীয-ত্রসরেণুর (ক) অনুগত আকর্ষণশক্তি আছে, সেই আকর্ষণ-শক্তিই পরস্পরের সহিত মিলিত হয়, অগত্য তৎসঙ্গে২ জলীয়-ত্রসরেণু ও মিলিত হয। প্রত্যেক পার্থিব অংশের অমুগত আকর্ষণ-শক্তি আছে, সেই শক্তিই পরস্পরেব সহিত মিলিত হয়, অগত্য তৎসঙ্গে পাথিব-অংশও পরস্পরে সম্মিলিত হয়। সৰ্ব্বত্রই এইরূপ শক্তিরই সম্মিলনের সঙ্গে সঙ্গে ভৌতিক-পদার্থেব সন্মিলন দৃষ্ট হয । এখন শক্তির সন্মিলন বুঝিলে ? শিষ্য। বুঝিলাম, এখন আত্মার সেই জ্ঞানশক্তি-প্রভৃতি-শক্তি-ত্রয়েব মিলন হহয়! কি হইল তাহ বলুন । আচাৰ্য্য। শরীর-মধ্যবৰ্ত্তী উক্ত-শক্তিত্রয় মিলিত হইয়া প্রথম যে অবস্থা গ্রহণ কবে তাহার নাম ‘বুদ্ধি, । জ্ঞানাদি শক্তি-ভুষের মুখ্য অবলম্বন স্থান মস্তিক্ষের অভ্যস্তব.প্রদেশ ; স্বতয়াং বুদ্ধির অবলম্বনস্থান মস্তিষ্কের অভ্যন্তর প্রদেশ। আত্মার জ্ঞানের শক্তি, পরিচালনার শক্তি, এবং পোষণের শক্তির অন্তর্গত যে কোন-শক্তির ক্রিয়া শবীবের মধ্যে হইয়া থাকে, তৎসমস্তই এই মস্তিষ্কের অভ্যন্তরস্থান হইতে আসিতেছে, এই স্থান হইতেই প্রযুক্ত হইয়া সৰ্ব্বশরীরের মধ্যে কাৰ্য্য করে, ইহা পূৰ্ব্বেই প্রদর্শিত হইযাছে। আত্মশক্তি। এই প্রথম অবস্থাকে অধ্যবসায়’ বা ‘নিশ্চয়বৃত্তি’ বলে। “অধ্যবসায়ো বুদ্ধিঃ” (সাঙ্খ্য ) অধ্যবসায় বা নিশ্চয়াত্মক বৃত্তি বলিলে কি বুঝা যায়, তাহা বোধ হয় এককথায় বুঝিতে পার নাই, এজন্য আরএকটু বিশদ করিয়৷ বলিতেছি। (ক) নব্যমতের হইট জলজনক-পরমাণু আর একটু অন্নজনক পরমাণু একত্রিত হইলে প্রাচীনমতের একটি জলীয় ত্রসরেণু বলাহয়। “এলরেণুপ্তকৈ द्धिडि:” (चक्षद्म ८ङ्गंश् )