পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । । তৃতীয় منده. শক্তিজগতের ইহা একটি সাধারণু নিয়ম যে, যে যে শক্তি প্রবাহিত হইয়। চলিয়া গিয়া কাৰ্য্য করে, সেই শক্তিমাত্রেরই তিন প্রকার अबश श्रांरक्क তাহ পূৰ্ব্বে (১৬ পৃঃ ৯ পং) বলিয়াছি, আবারও স্মরণ করিয়া দিতেছি – সেই তিনটি অবস্থার মধ্যে একটি অবস্থার নাম নিয়োগাবস্থা, আর একটি অবস্থার নাম ‘প্রবাহাবস্থা, আর একটি অবস্থার নাম ‘সুত্রাবস্থ । মনে কর, মেঘ হইতে উড়িৎশক্তি আসিয়া পৃথিবীর সহিত সংযুক্ত হইতেছে, এখন ঐ তড়িৎশক্তি যতক্ষণ মেঘে থাকে, ততক্ষণ তাহার স্বত্রাবস্থা বলা যায়, আর যখন ঐ শক্তি বায়ুরাশির স্তরে-স্তরে ভেদ করিয়া, পৃথিবীর দিকে আসিতে থাকে, তদবস্থাকে ঐ তড়িৎশক্তির প্রবাহাবস্থা বলা যায় এবং যখন পৃথিবীতে আসিয়া পৃথিবীর সহিত সংযুক্ত হয়, তদবস্থার নাম নিয়োগাবস্থা এই তিন অবস্থা হইল। o বহিৰ্ব্বিচরণশীল শক্তিতে যেমন এই তিনটি অবস্থা দেখিলে, তোমার শরীরের মধ্যে যত প্রকার শক্তির কার্য্য হইয়া থাকে, তাহারও প্রত্যেকটিতেই এইরূপ তিনতিনটি অবস্থা আছে। মনে কর, তুমি হস্তদ্বারা রামদাসকে একটি ধাক্কা দিলে, এই ধাক্কাটি তোমার কোন শক্তির কার্য্য ? ইহ একটি অপসারণ-শক্তির কার্য্য ; এই অপসারণ-শক্তিটি প্রথম তোমার মস্তিষ্কের অভ্যন্তরবৰ্ত্তি-বুদ্ধিতে পরিখরিত হইলে, তৎপর মস্তিষ্ক হইতে ক্রমে হস্তের স্নায়ুর দ্বারা প্রবাহিত হইয়া কর পর্যন্ত আসিয়া পরে রামদাসের শরীরে বিনিযুক্ত বা মিলিত হইল, তখন ধাক্কা লাগিল, রামদাস সরিয়া পড়িল। এইক্ষণে যখন এই অপসারণ-শক্তিটির প্রথম পরিস্ফুরণ হইল, তখন ইহার স্বত্রাবস্তা' এই অবস্থার নামই তোমার রামদাসকে-ধাক্কা দেওয়ার অধ্যবসায়’ বা ইচ্ছ। বা নিশ্চয় বা বুদ্ধি-হওয়া বলা যায়। অর্থাং রামদাসকে ধাক্কা দেওয়ার জন্ত য়খন প্রথম তোমার ঐ ধাক্কা দেওয়ার শক্তির-—একরূপ অপসারণ-শক্তিরপরিষ্করণ হয়, তখন ইহা বলা যায়, যে ভূমি রামদাসকে ধাক্কা দেওয়ার নিমিত্ত অধ্যবাদী হইয়াছ, বিনা ইচ্ছাবাৰু হইয়াছ, কিম্বা নিশ্চয় করিয়াছ, কিম্বা বুদ্ধি করিয়াছ। এসময়ে কেবলমাত্র মস্তিক্ষের মধ্যেই ঐ শক্তির ক্রিয়া হয়। তৎপর যখন ঐ শক্তিটি মস্তিক্ষ ছাড়িয়া হন্তের মাংসপেষীসমূহে জড়িত স্নায়ুমণ্ডলের মধ্যে চলিয়া লাইসে, তখন উহার প্রবাহাবস্থা বলা যায় ; এই