পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૭] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ১৭৫ শক্তির বিরোধিনী জ্ঞানশক্তি আর পোষণশক্তি, এবং পোষণশক্তিৰ বিরোধিনী জ্ঞানশক্তি আর পরিচালনশক্তি। এজন্ত ইহাদেৰ পরম্পরের মধ্যে একের সাহায্যে অপরটির বলবৃদ্ধি বা উত্তেজনা হইয় থাকে, আবার একটির দ্বাবা অপরটির বল হ্রাসপ্রাপ্তও হইয়া থাকে। অর্থাৎ কোন বিষয় দর্শন স্পর্শনাদি কালে যখন আমাদের জ্ঞানশক্তি বিস্কৃম্ভিত হইয়া—চক্ষু-কর্ণাদির স্বায়ুসমূহের দ্বারা প্রবাহিত হইয়া আসিতে থাকে, তখন পরিচালনশক্তি আর পোষণশক্তি ক্ষীণতাপ্রাপ্ত হইয় পড়ে, ক্রমে যখন আমাদের কোন বিষয়ে প্রগাঢ়তর জ্ঞান, অর্থাৎ স্থির-ভাবে কোনবস্তুর গম্ভীর-জ্ঞান-সৰ্ব্বাঙ্গ-প্রকাশকজ্ঞান হইতে থাকিবে, তখন ঐ বিরুদ্ধশক্তি-স্বয় একবারে ক্ষীণ বা নিরুদ্ধ— নিস্তন্ধ—হইবে। কারণ একটি বিরুদ্ধ শক্তির বল একবারে নিস্তেজ না হইলে অপর একটি বিরুদ্ধশক্তির বল প্রবল তাবে উত্তেজিত হইতে পারে না,—এবং পরস্পর ধর্ষণশীল শক্তি সমূহের মধ্যে একটি বিরুদ্ধশক্তির বল যে মাত্রায় কমিবে অপর-একটির বলও ঠিক সেই পরিমাণেই বাড়িবে, একটি বিরুদ্ধশক্তিকে নিস্তেজ করিয়াই অপর একটির বিকাশ, অথবাএকটি শক্তিকে নিস্তেজ করার নিমিত্তই অপর একটি বিরুদ্ধ-শক্তির প্রাদুর্ভাব হয় ইহা বলা যাইতে পারে। অতএব আমাদের ঐ দর্শন-স্পৰ্শন-শক্তিটি ষে পরিমাণে উদ্ভূত ও উত্তেজিত হইবে, পরিচালনশক্তি আর পোষণুশক্লিও, ততক্ষণের নিমিত্ত, ঠিক্‌ সেই পরিমাণেই হ্রাস প্রাপ্ত ও নিলক্ষ্য হইতে থাকিবে। অর্থাৎ ঐ সময় হস্ত-পদাদির পরিচালনা ক্রমে বন্ধ হইয়া আসিবে, এবং ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলী-প্রভৃতির ক্রিয় নিস্তেজ হইয়া পড়িবে, ক্রমে অবশেষে নিস্তন্ধ হইবে। এইরূপ যখন পরিচালনশক্তি বিস্তৃপ্তিত হইবা হস্তপদারি স্বায়ু সমূহের দ্বারা প্রবাহিত হইয়া হস্ত পদাদির উপর পরিচালন কাৰ্য্য করিতে থাকে, তখন জ্ঞানশক্তি আর পোষণশক্তি নিস্তেজ হইতে থাকে। যে, পরিমাণে পবিচালনশক্তির বৃদ্ধি হয়, সেই পরিমাণেই অপর শক্তিৰয়ের হ্রাস হইতে থাকে, অবশেষে যখন পরিচালনশক্তির পূর্ণমাত্রায় বৃদ্ধি, তখন অপরন্থটিরও পূর্ণ মাত্রায় ক্ষীণত হইয় পড়ে। অর্থাৎ সন্মুখস্থিত কোন স্বস্তুর দর্শন-স্পর্শনাদির অনুভব বা কোন প্রকার চিস্তা এবং পাকস্থলীপ্রভৃতির ক্রিয়, ততক্ষণ পৰ্য্যৰ, অতীব ক্ষীণত প্রাপ্ত হইবে।