পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ડેન્ગર ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । তৃতীয়বিমিশ্রণভাব থাকাতে সৰ্ব্বদাই দেহগৃহের অভ্যন্তরে উজ্জ্বলিতভাবে প্রকাশমান হইয়া আছে, দেহেরমধ্যে যেন আর অন্ধকার নাই—পাদ অবধি মন্তক পৰ্য্যন্ত । কোন-খানেই অন্তরেই অপ্রকাশ নাই, কোন স্থানেই যেন আর অন্ধতা নাই, . অন্তরেং সৰ্ব্বত্রই যেন এক রূপ প্রকাশভাব রহিয়াছে। এইরূপ এক প্রকার আন্তরিক-প্রকাশঅবস্থার নাম আমাদের ‘ আমির ” উপলব্ধি বা ‘ আমির ‘ · জ্ঞান। এই বিমিশ্রিত উপলব্ধির মধ্যে আমাদের চৈতন্য এবং বুদ্ধি ইচ্ছাদি-অবস্থাপন্ন জ্ঞান-শক্তি . পরিচালন-শক্তিপ্রভৃতি সমস্তশক্তি, সমস্তইন্দ্রিয়াদি ও প্রাণাদি এবং স্কুল দেহটা পৰ্য্যন্ত পড়িবে, অর্থাৎ ইহাদের সকলকে লইয়াই একপ্রকার একটা প্রকাশভাব হইতেছে। আমাদের এইরূপ আন্তরিক উপলব্ধি স্বরূপ প্রকাশ ভাবট দিন-দিন নুতন২ জন্মিতেছে না, কারণ আমাদের চৈতন্য আর জড়শক্তির সংযোগ দিন২ নুতন করিয়া জন্মিতেছে না, যে দিন আমার আমিত্ব সংগঠিত হইয়াছে সেই দিনই আমার চৈতন্য এবং জড়শক্তির সংযোগ হইয়াছে, সুতরাং সেই দিন হইতেই আমার আমির মধ্যে ঐরুপ প্রকাশস্বরূপ জ্ঞানও হইয়াছে। • কিন্তু অবশুই, জড়তাপ শক্তির যোগে লৌহাদির আরক্তিমবর্ণব আলোকে দ্ভেদ স্বরূপ প্রকাশ লইয়া যে আমাদের আন্তরিক প্রকাশের তুল্য দৃষ্টান্ত যোজন করা হইল, তাহ। কখনই না ; কারণ দৃষ্টান্ত আর দাপ্তান্তিক সম্পূর্ণ বিসদৃশ পদার্থ ; কেননা আমাদের চৈতন্য পদার্থটি তাপশক্তির ন্তায় জড় পদার্থ নহে, আর আমাদের “আমির” অন্তর্গত যে শক্তিগুলি প্রকাশিত হইতেছে তাহারাও লৌহ পিণ্ডাদির ন্যায় ভৌতিক পদার্থ নহে, এবং আমাদের দেহের মধ্যে যে, “আমি সৰ্ব্বদা প্রকাশ পাইতেছি,-দেহের মধ্যে যেন কখনই অন্ধত্ব ভাব হইতেছে না, সেই প্রকাশও ঠিক উত্তপ্ত লৌহপিণ্ডের প্রকাশের মত নহে, ইহারা পরস্পরে অত্যন্ত বিভিন্ন প্রকার। কারণ আমাদের দেহ-মধ্যে চৈতন্তপদার্থ, আর সর্বদেহ-ব্যাপক দশ প্রকার ইঞ্জিয়-শক্তি এবং পাঁচ প্রকার প্রাণাদি-শক্তিপ্রভৃতি সমস্তপ্রকার অস্বাভাবিক শক্তির সমষ্টি (৭ধ ২৬) এবং পদতল অবধি-মস্তক-পৰ্যন্ত সমস্তটিদেহ, ইহাদের একরূপ অনিৰ্ব্বচনীয় অত্যন্ত মাখামাখি-ভাবের সংযোগ আছে, সেই সংযোগ