পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थं ] ধৰ্ম্মব্যাখ্য' । ף"שי আছে, তদপেক্ষায় কিছু একটু নুনাতিরেক বা পরিবর্তন হয়, তবে বিলক্ষণ রূপে তাহা গ্রাহ্য করিয়া থাক ; যখন বায়ুর স্রোত কোনদিক হইতে কোন দিকে চলিতে থাকে, তখন তাহার স্পর্শের অনুভৱ বিলক্ষণ গ্রাহ্যকর, কেননা যেভাবে তোমাকে বায়ুরাশি সৰ্ব্বদা স্পর্শ করিয়াছিল সেই স্পর্শের পরিবর্তন হইল, আর যখন প্রবল গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড-মার্তও-কিরণের দ্বারা পরিব্যাপ্তবায়ুরাশি নিতান্ত ক্ষীণ হইয়া যায়, তখনও শরীরটা যেন কিরকম কি রকম বোধ হয়—শরীরটা যেন আবরণপূন্য আবরণ শূন্য মনে হয়, আবার যখন প্রগাঢ়তর শীতকাল উপস্থিত, তখন তাপের কিছু হ্রাস হওয়াতে পরিব্যাপ্ত বায়ুরাশি, একটু গাঢ় হয়—মুতরাং একটু পরিবর্তন হইল, এই সময় যেন আবার আর কি একরকম বোধ হয়, সৰ্ব্বদেহ-ব্যাপক-বায়ুরাশির আবরণটা যেন একটু অনুভবে আইসে, শৰীট যেন একটু চাপাচাপ মনে হয়। সুতরাং তখন বায়ুরাশির স্পর্শ যে আমরা অনুভব করিতেছি তাহা বুঝিতে পারি। এইরূপ সময় সময় পরিবর্হিত এক একরূপ-স্পর্শের অন্তভব করিয়া আমরা মনে করি যে ‘বায়ু হইতে আমরা স্পর্শশক্তির অনুভব করিয়া থাকি কিন্তু যদি বায়ুরাশির এইরূপ সাময়িক পরিবর্তনের দ্বারা তাহার স্পৰ্শ-শক্তির পরিবর্তন ন হইত, তাঙ্গ চইলে, বুধ ইষ্টতে যে আমরা স্পৰ্শশক্তির অনুভবকরি কিম্বা বায়ুব মধ্যে যে স্পর্শশক্তি আছে, হয়ত তাহাও আমরা স্বীকার করিতাম না। আমাদের ‘আমির অনুভব সম্বন্ধেও এইরূপেই জানিতে হইবে। যখন হইতে আমি আছি, তখন হইতেই আমার আমিরও সৰ্ব্বদা অনুভব হইতেছে, অথচ তাহা গ্রাহ্যে আসে না, আমরা যে সৰ্ব্বদা ‘আমির’ অনুভব করিতেছি, তাহা বুঝিতে পারিন। কিন্তু যখন ভক্তি, ক্রোধ, ঈর্ষ্যা, অস্থয়া, দ্বেষ, দুঃখ, শোক, হর্ষ, মুখ, প্রভৃতি কোন প্রকার বৃত্তি উত্তেজিত হইয়া দেহের মধ্যে বিস্তৃম্ভিত হয়, তখন ততটক সময়ের নিমিত্তই আমাদের অস্তিত্বের পুলিবর্তন হয, আমাদের ‘আমির বা আত্মার অবস্থান্তর হয়, যে অবস্থায় পূৰ্ব্বে ছিলাম তাহার বদল হইয়া যায় ; স্তরীঃ তখন “আমাকে আমি বিলক্ষণ গ্রাহ্য করতে পারি, আমার অস্তিত্বের অনুভবটাও