পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারমত নূতন একপ্রকার অবস্থা হয়, এবং তখন আমরা বুঝিতে পারি ৰে আমার এইরূপ অবস্থা হইয়াছে, সুতরাং এসময় ও আমাদের সেই আমির’— আত্মার-অনুভব বিলক্ষণ আমাদের গ্রাহ হয়, কারণ এই ক্রোধাবস্থায় অনুভবও আমাদের সেই চিরন্তন অনুভবের জাগিয়া উঠা অবস্থা মাত্র। ঈর্ষ্যা, অস্থয়া, দ্বেষাদিশক্তির উদ্দীপনার সময়ও ‘ আমির • মধ্যে কিরূপ এক প্রকার বিক্ষোভ,—কিরূপ এক প্রকার কৃপণতা ভাব উদ্বেলিত হয় তাহা, যাহার ‘ আমির মধ্যে হয়? সেই অনুভব করিতে পারে, তৎকালে তাহার ‘ আমি : পূৰ্ব্বাবস্থাঅপেক্ষায় পরিবর্তিত কিরূপ এক অবস্থায় আইসে, তাহা যাহার হয় সেই অনুভব করিতে পারে, এবং তখন সে বুঝিতে পারে যে ‘এখন আমার এইরূপ অবস্থা হইয়াছে।” সুতরাং এসময় ও ‘আমির’ সেই পুৰ্ব্বতন অনুভূতিই আমাদের গ্রাহ হয়। - দুঃখের সময়ও, ‘আমির মধ্যে যেন কিরূপ একটা গুরুতর বাধা বা আক্রমণ উপস্থিত হয়। শরীরের কোনখানে একটা ফোড়া হইলে সেই স্থানট ব্যাপিয়া অ্যমাদের আত্মাকে যেন অগ্নি পিণ্ডের দ্বারা চাপিয়া চাপিয়া ধরে ‘আমির মধ্যে যেন কিরূপ এক প্রকার খরতরভাব—তীক্ষতীক্ষ ভাবকি এক রূপ অসহনীয় ভাব উদ্দীপ্ত হয়। দুঃখের পুৰ্ব্বকার অবস্থাপরিবর্তন হইয়া যায় এবং এখন বুঝাযায় যে আমার ‘আমির’ এই অবস্থা হইয়াছে। অতএব এই সময়ও আমাদের ‘আমির অনুভব বিলক্ষণরূপ গ্রাহ করা হয়। শোকের সময়ও, বন্ধু বান্ধবাদির বিয়োগ হইলে আমাদের ‘আমির যেন কতকটা অংশ খসিয়া যায়, আমিত্বটা যেন চারিদিক হইতে চাপালাগিয়া অত্যন্ত আকুঞ্চিত ও ক্ষীণ হইয়া পড়ে,–যেন শূন্যশূন্য প্রতীতি হইতে থাকে ‘আমির পূর্বাবস্থার অন্যথা হইয়া যায়, এই সময়ে ইহা বিলক্ষণ বুঝা যায় যে আমার এখন এই অবস্থা হইয়াছে, সুতরাং এখনও ‘আমির’ অনুভব গ্রাহ হইয়া থাকে আমির অনুভব আমরা বুঝিতে পারি। হর্ষ মুখাদি কালেও এইরূপ আমাদের আমির পরিবর্তন হইয়া থাকে, বন্ধ জনের সন্দ শনে আমাদের ‘আমি যেন উৎফুল্প হইয়া ফাপিয় উঠে, তখন যেন আমাতে আর আধিত্বটা ধরে না এইরূপ বোধ হইতে থাকে জামাদের ‘আমি তখন পুৰ্ব্বাবস্থা ত্যাগ-পূৰ্ব্বক অবস্থাস্তরে পরিণত হয়। এখন - - ~. ቘቁ