পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা। তৃতীয় سواهیه স্বরূপ বলিতে হইবে। অতএব তোমার প্রচুরতর অর্থপ্রাপ্তি মাত্রেই আত্মার সমস্ত রাজসিক শক্তিগুলি যেন আপনআপন আলম্বনই প্রাপ্ত হুইল, পুৰ্ব্বাবস্থার সেই প্রসারশূদ্বারের কপাট টা যেন খুলির গেল, এখন যেন তোমার আত্মা সমস্ত শক্তি সহকারে একটা ঋঙ্কার দিয়া উঠিল, প্রদীপের শল তাটা বাড়াইয়া দিলে প্রদীপট যেরূপ বিস্তৃত ও উৎফুল্প হইয় উঠে, সেইরূপ বিস্তৃত ও উৎফুল্ল হইয়া উঠিল ; ভাটা অবস্থার পর পূর্ণ জোয়ার অবস্থায় গঙ্গাজল যেমন ঈষৎ, বিক্ষোভিত হইয়া খাল, নালা, পয়নালা, প্রভৃতিকে পরিপূর্ণরূপে আপ্লাবিত করিয়া চলে, তোমার আত্মাও যেন সেইরূপ একটু বিক্ষোভিত হইয়া সমস্ত স্নায়ুমণ্ডলীকে পরিপূর্ণরূপে আপ্লাবিত করিয়া বাহিরের বিষয়াভিমুখে চলিতে লাগিল ; তখন প্রসারিত লতাবলি যেন অলিম্বন পাইল,—আত্মার সেই আকুঞ্চন ভাব, সেই জড়ীভূত ভাব,-সেই চুন্সিয়া যাওয়ায় ভাবটা বিনষ্ট হইল, আত্মার সমস্ত শক্তিই রীতিমত প্রফুল্ল ও প্রসারিত হইয়। চক্ষুকৰ্ণাদি সমস্তদেহাবয়বের প্রতি অণুতে অণুতে বিসর্পিত হইয়া চক্ষু, কর্ণ, কপালাদি সমস্ত অঙ্গ প্রত্যাঙ্গকে উৎফুল্ল করিয়া তুলিল ; তখন তোমার আত্মার শক্তিগুলি যে ঐ রূপ বিসর্পিত ও উৎফুল্প হইয়া চারিদিকে বিচ্ছুরিত হইতেছে, তাহা যেন বাহির হইতেও দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। এখন তোমার আত্মার শক্তিসমূহ নিৰ্ব্বিঘ্নে, নিৰ্ব্বিরোধে,—অনর্গল ভাবে সমস্ত শরীরে । পরিচালিত হইয়া রীতিমত সৰ্ব্বশরীর পরিব্যাপ্ত করিল । আত্মার-– ‘আমির’—এইরূপ অবস্থাটির নাম ‘সুখ’ । অতএব ‘মুখ’নামে শাদী কাল বর্ণাদির মত কোন একটা গুণ বা শক্তি বিশেষ বাহির হইতে আসিয়া আত্মাতে সংলগ্ন হয় না, এবং আত্মার মধ্যে ও নুতন একটা কোন গুণ বা শক্তি উৎপন্ন হয় না। তখনকার মত, আত্মার পুর্বাবস্থাটা, পরিবর্তিত হইয়া অার এক প্রকার নুতন অবস্থা হইল বলিয়া “মুখ উৎপন্ন হইল” বলা যায়। সুতরাং স্থখনামক কথাটা আত্মা কথা হইতে পৃথক্ কথা হইলেও আত্মা আর মুখের কোন পার্থক্য নাই,-- আত্মা জিনিষটাও বাহা সুখও তাছা, আত্মা স্বয়ংই মুখ, আত্মার সববাঙ্গীন পরিবর্তম অবস্থা বিশেষই সুখ।