পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હાજી...] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা। ఇeసీ মুখ যখন অতিরিক্ত কোন একটা গুণ বা শক্তি বিশেষ আত্মাতে জন্মিতেছে না, কেবল আত্মার একটা সৰ্ব্বাঙ্গীন পরিবর্তন অবস্থা বিশেষমাত্র, তখন মুখামুভব আর আত্মার অনুভব ইহাও একই কথা। এবং এই মুখাম্বভব বা মুখ জ্ঞান নামেও কোন একটা গুণ বা শক্তি নূতন করিয়া আত্মাতে উৎপন্ন হইতেছে না। মুখাবস্থার পূৰ্ব্বে যে তোমার একটা চিরন্তন ‘ আমির অনুভব ছিল বা জ্ঞান ছিল,—যাহা বায়ুরাশির ম্পর্শের স্থায় তোমার জন্মাবধি অভ্যস্ত আছে বলিয়া তুমি গ্রাহ্য করিতে না, এখন সুখাবস্থায় তোমার ‘আমির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তোমার সেই পূৰ্ব্বকার আমির অনুভূতিটাই একটু জাগিয়া উঠিল মাত্র। কারণ এই সময় তুমি ইহা বি লক্ষণ অন্তরে অন্তরে বুঝিতেছ যে আমার এইরূপ অবস্থা টা হইয়াছে। সকল প্রকার মুখের অবস্থায়ই এইরূপ যথা যোগ্য যোজনা করিয়া লইয়া বুঝিতে হইবে। আহারাদিজনিত সুখও কি আত্মারই অবস্থা বিশেষ ? শিষ্য।—আপনার অদ্ভূত উপদেশের রহস্য কিছুই বুঝিতে পারিলাম না। যাহা বললেন ইহা প্রত্যক্ষের বিরুদ্ধ ৰিষয়। কারণে আমরা স্বয়ংই ইহা অনুভব করিতেছি যে, যখন অপূৰ্ব্ব মনোহর মধুরঅম্নাদি রসযুক্ত দ্রব্য সকল আমাদের রসনা সংসর্গ করিয়া আত্মাকে স্বকোমল স্পর্শ করে— যাহাতে একপ্রকার অনিৰ্ব্বচনীয় ভাব উপস্থিত হয়,—বাহার নিমিত্ত ত্রিভুবন সৰ্ব্বদা লালায়িত, যাহার নিমিত্ত মন্থ প্রভৃতি প্রাচীনগণের বিধিনিষেধ পদদলিত করিয়া, পিতা মাতাদি অভিভাবকগণের শত শত অনুরোধ ও অনুতাপকে তৃণত্বে গণ্য করিয়া, সমাজের সহস্র পরিপীড়ন মস্তকে লইয়া, সমস্ত ধৰ্ম্মে জলাঞ্জলি দিয়া, এবং জাতিভেদে কুঠারাঘাত করিয়া সহস্ৰ সহস্ৰ লোক এত সমুংম্বক, সেই সুস্বতোপম মুখ কি আত্মা হইতে পৃথক কোন পদার্থ নহে, কেবল আত্মারই পুরাতন অবস্থায় একটা পরিবর্তনমাত্র ? যাহা আমরা অখণ্ডিত-ভাবে একটি উৎপদ্যমান গুণ বলিয়া অনুভব করিয়া থাকি ? । আপনার মতে এই সকল মুখামুভব