পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.২৯২ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ छूडीौग्न একটা দীর্ঘাকার আকৃতি হইয়াছে, তাহাকেই একটি কথারদ্বারা ব্যবহার করার জন্য সঙ ক্ষেপে একটি নাম দেওয়া হয় সেই নামটি ‘ শরীর । অতএব এই দীর্ঘকার জনিষটাকে শরীর ’ নামের পরিবর্তে আত্মার শক্তি প্রবাহ বা পরিচালনের যন্ত্রসমষ্টি বলিলেও হইতে পারে ; কারণ শরীরের মধ্যে এমত কোন একটু স্থান বা অংশ নাই, যেখানে আত্মার শক্তি পরিচালনা বা প্রবাহের সাহায্য না করিয়া কেবল সৌন্দৰ্য্য দর্শনাদির নিমিত্ত নিরর্থক রহিয়াছে, যথা হস্ত, পদ, চক্ষু, কর্ণ, নাসিক, উদর, বক্ষ, ও তাছাদের অন্তর্গত পেষী, স্বায়ু, ধমনী, নাড়ী, শিরা, মস্তিষ্ক, হৃৎপিও, ফুসফুস পাকস্থলী ইত্যাদি । ইহাই শরীরের লক্ষণ— জ্ঞানস্বরূপ নির্ণয়ের অন্তর্গত আহারাদিজনিত সুখ দুঃখের স্বরূপ নির্ণয়। আচাৰ্য্য।—অতিশয় সন্তুষ্ট হইলাম ! যে, আমি যাহা বলিয়াছি, তাহ তুমি বিলক্ষণ চিন্তা সহকারে ধারণা করিয়াছ, এবং বিস্তৃত হও নাই। এখন অন্য কথা গুন ;—এই আত্মশক্তি পরিচনায় যন্ত্রস্বরূপ-শরীরের অস্তিত্বরক্ষার নিমিত্ত কএকটী পদার্থের কিছু অধিক-মাত্রায় থাকা নিতান্তই আবশ্বক হয়,—যথা আজোট (ইং নাম) স্নেহ, গুড়, লবণ ইত্যাদি। এই সকল পদার্থগুলি না থাকিলে শরীরের অস্তিত্বই থাকে না, মস্তিষ্ক, স্নায়ুপ্রভৃতি সমস্ত শরীরাবয়বই অকৰ্ম্মণ্য ও অবসন্ন হইয়া পড়ে,—আত্মার কোনপ্রকার শক্তিরই পরিচালন করিতে পারেনা, আর অনেকগুলি পদার্থ অতি সামান্যমাত্রায় থাকিলেও চলে,—যথা, লৌহ, শীসক, চুর্ণ, ক্ষার ইত্যাদি । এ গুলিতেও দেহের অস্তিত্ব রক্ষার ঐরূপই সাহায্য করে। , এদিকে আবার প্রতিক্ষণেই আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসাদি নানাবিধ কারণে শরীরের অন্তর্গত উক্ত সমস্ত প্রকার পদার্থেরই ক্ষয় হইয়া যাইতেছে —শরীরের মধ্য হইতে চারিদিকে বিকীর্ণ হইয়া যাইতেছে ; কিন্তু আহারের দ্বারা আবার আমরা তাহার সম্পূর্ণরূপ পরিপূরণ করিয়া থাকি। তন্মধ্যে যে যে দ্রব্যগুলি আমাদের শরীরের নিতান্ত প্রয়োজনীয়—যে যে বস্তুর অভাবে আমাদের শরীরবিয়ৰ সকল শিখিল, ক্ষীণবীৰ্য্য, আত্মার শক্তি পরিচালনে অশক্ত