পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২. ধৰ্ম্মব্যাখ্যা। [ তৃতীয় । আচাৰ্য্য।—ঠিক বলিয়াছ, এখন আর একটির বিষয় বল । - শিষ্য।—জল পদার্থটা তড়িৎশক্তির অত্যন্ত পরিচালক দ্রব্য, অর্থাৎ তড়িৎশক্তি গতায়াতে অতি সামান্ত পরিমাণে বাধা জন্মায়, কিন্তু বিশুদ্ধ বায়ুরাশি তড়িৎশক্তির অপরিচালক, অর্থাৎ অতি তীব্রতর বাধা জন্মাইয় থাকে। বর্ষাকালে প্রতিদিনই প্রায় বর্ষণ হইতেহইতে মেঘও পৃথিবীর মধ্যবর্তী বায়ু রাশি নিতান্ত সিক্ত (জলকণা বিমিশ্ৰিত ) হইয়া যায়, সুতরাং তখন সেই বায়ু, তড়িৎশক্তির বিলক্ষণ পরিচালক, অর্থাৎ তড়িৎশক্তি পরিচালনে অতি সামান্য পরিমাণে বাধাজনক হয়, স্বতারাং उ५न মেঘাদির মধ্যে অতি সামান্ত পরিমাণে একট তড়িৎশক্তি জন্মিলেও তৎক্ষণাৎ পৃথিবীতে আসিয়া পড়ে, তড়িৎ অধিক জমিতে পায় না, डांहॉब्ल স্কপ্তি বা উত্তেজনা ও বলবৃদ্ধি হইতে পারে না, বজ্রপাতও হয় না ; কারণ পণ্ডিতগণ অধিক পরিমাণে উপচিত-তড়িৎশক্তির গতায়াতকেই বজ্রপাত বলিয়া থাকেন। আবার যখন বসন্তাদি কাল উপস্থিত হয়, তখন বুষ্ট্যাদি না হওয়াতে, ' বায়ুরাশি নিতান্ত শুষ্ক ও রুক্ষ হইয়া যায়, সুতরাং তড়িৎশক্তির অত্যন্ত অপরিচালক হয় ; সেই কারণবশত মেৰীয় তড়িৎশক্তি পৃথিবীতে জালিতে পারে না, অথচ আসিবার জন্ত বিলক্ষণ চেষ্টা করিতে থাকে, ক্রমে তাহার বলবৃদ্ধি হইতে থাকে। ক্রমে অধিক তড়িৎশক্তি একত্রে জমিতে থাকে, পরে যখন অত্যন্ত বলবতী হইয় উঠে, তখন বায়ু রাশির সেই প্রবল বাধাও অতিক্রমণ করিয়া বায়ু বিদারণ পূর্বক পৃথ্বীবীতে আসিয়া পড়ে, ইহাই বজ্রপাত। এখন আপনি কি বলিবেন বলুন। আচাৰ্য্য।—যাহ বলিলে ইহাই সত্য। এখন তুমি এই দৃষ্টান্তটি তোমার নিজের মধ্যে যোজনা করিয়া লও, তবেই বায়ু বৃদ্ধির প্রকৃতিতে, বায়ু বৰ্দ্ধক দ্রব্য খাইলে আত্মার শক্তি দুৰ্ব্বলা হইবে কেন, তাহা বিলক্ষণরূপে বুধিতে পাৰিবে ইহার বিস্তাব করা বাইতেছে শুন}— । আমাদের ভাষার শক্তি ও যে তার প্রবাহিনী তড়িৎশক্তির স্থা, অসখ্য দায়ুমণ্ডলের মধ্যদিয়া সৰ্ব্বদা পরিচালিত হইয় গতায়াত করি তেছে, তাহ অনেক বারই বিস্তার ক্রমে বলিয়াছি। ঐ শক্তি গুলি