পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चैe ] * ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । Rలిఫ్ ক্রমে শিষ্যদিগের বুদ্ধির, বৃদ্ধি বল আর ক্ষয়ই বল, অবস্থান্তর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই মূল কথাটিরই প্রকাও বিস্তৃতি হইয়া পড়ে।- মনে কর, ভগবান পতঞ্জলি দেব প্রথম কিঞ্চিৎ নুনি ২৪ শত স্বত্রের দ্বারা একখানি পাতঞ্জল দর্শন প্রণয়ন করেন,—ষাহ লিখিতে গেলে দুই পৃষ্ঠাতেই সমাপ্ত হয়, এখন অংগুই স্বীকার করিতে হইবে যে পতঞ্জলি দেব, যখন ঐ ছপাতায় একখানি দর্শন শাস্ত্র প্রণয়ন করিয়া ছিলেন, তখন শিষ্যগণ তদ্বারাই তাহার সমস্ত উদেশ্য বুঝিতে পারিয়াছিলেন, বুঝিতে না পারিলে পতঞ্জলি দেব - উন্মত্ত প্রলাপের সদৃশ কতকগুলি বর্ণমালা লিখিবেন, বা বলিবেন কেন ? অন্তকে বুঝানর নিমিত্তই সকলে গ্রন্থ করিয়া থাকে, কেহই ন বুঝিলে তবে অদ্যাপি সেই গ্রন্থ থাকিবেই বা কেন, আর বেদব্যাসাদি গুরুদেবগণ উহার ভাষ্যই বা কি প্রকার করিলেন। তৎপর বহুদিন পর যখন পাঠকদের ও শিষ্যদের বুদ্ধি অন্ত রূপ হইয়া গেল, তখন ঐ পাতঞ্জল দর্শনের কথা সৰ্পের মন্ত্রেরষ্ঠায় হইয়া উঠিল, কেহ আর তাহাতে দন্তস্কট করিতে পারে না, স্বতরাং পরম কারুশিক ভগবান বেদব্যাস দেব তাহার (সেই মূলের ) বিস্তৃতি করিয়া, নূতন কোন কথা বলিয়া নহে-যাহ সেই মূলে, আছে তাহারই একটু দীর্ঘকার করিয়া, বুঝাইয়া দিলেন তাহারই নাম ‘পাতঞ্জল ভাষ্য’ যাহার আয়তন ঐ প্রকার পত্রের ১৫০ পৃষ্ঠা হইবে । তৎপর কালক্রমে শিষ্য পাঠকদের বুদ্ধি আরও পরিবর্তিত হইল, তখন সেই ভাষ্যও দন্ত বেধের অযোগ্য হইয়া পড়িল, তখন গুরুদেব বাচস্পতি মিশ্র আবার সেই ভায্যেরই একটু দীর্ঘাকার করিলেন, একটু বিস্তৃতি করিলেন, কিন্তু নূতন একটি কথাও বলিলেন না। ইহার নাম পাড়ঞ্জল ভায্য টীকা, ইহার আয়তন ভায্যের দ্বিগুণ হইবে । - এখন আবার বুদ্ধির উন্নতিই বল, আর অবনতিই বল, এতই পরিবর্তন হইয়াছে যে, সেই টকাতেও প্রায় লোকেরই প্রবেশ করার ক্ষমতা নাই ; দর্শনের টাঁকাতে দুরের কথা কাব্যালঙ্কারাদি গ্রন্থ,—যাহা বোধ হয় কেবল এক মাত্র নিদ্রাদেৰীরে সাহায্যের নিমিত্তই, অর্থাৎ যাহাদের সর্বদা বুদ্ধি