পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર9 ૭ - ধৰ্ম্মব্যাখ্যা I - [ छूउँौद्र পরিচালনা করিতে করিতে উগ্রতাপ্রযুক্ত নিজ আইসে না, কেবল তাহদের স্বনিদ্রাকর্ষণের নিমিত্তই, প্রণীত হইয়াছে, সেই কাব্যালঙ্কারাদিরই আবার টীকার টক তস্ত টীকা ও অনুবাদের অনুবাদাদি নিতান্ত প্রয়োজনীয় হইয়াছে, নচেৎ তাহাতেও সাধারণের প্রবেশ করা অসাধ্য ; সুতরাং আমরা আবার সেই মূল, ভাষ্য ও টীকাদির এক একটি পংক্তিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এক এক গ্রন্থাকারে বিস্তৃত ও দীর্ঘাকৃতি করিয়া তোমাদিগকে বুঝানের চেষ্টা করিতেছি, এখন যদি আপত্তি কর যে এই বিস্তৃত ব্যাখ্যার প্রত্যেক কথার পৃষ্ঠে এক একটি শাস্ত্রীয় বচন দিতে হইবে, তবে আমি তাহ কোথায় পাইব ? ঋষিগণের সময়ে যদি এখনকার মত বুদ্ধি হইত, তাহা হইলে ঋষিগণ এখনকার বুঝিবার উপযুক্ত মত এক এক কথাকেই অতি সুদীর্ঘ করিয়া বুঝাইয়া দিতেন, আমিও এখন তোমাদিগকে বুঝানর সময় কথায় কথায় বচন তুলিয়া বুঝাইতে পারিতাম। কিন্তু তখনকার কালেরই এরূপ নিয়ম ছিল যে, তখন এক একটি কথার মধ্যেই অনেকগুলি কথা পুরিত থাকিত। এই জন্য আমরা সুখদুঃখ সম্বন্ধে এপর্যন্ত যতগুলি কথা বললাম’ এই সুমন্তগুলি কথা পুরিয়া রাৰিয়াই ঋষিগণ “বাধনলক্ষণদুঃখমৃ” “প্রতিকুল বেদনীয়ং মুখমৃ” এই হুট কৰা বলিয়াছেন, এখন আমাদের কথারৱারা সেই ক্ষে কথাগুলিই, জলসেকাদি প্রক্রিয়াদ্বারা যেরূপ অতি ক্ষুদ্র চারাবৃক্ষ হইতে প্রকাও বটবৃক্ষাদি উৎপন্ন হয়, এবং ঐ প্রকাও বৃক্ষের প্রত্যেক অবয়বগুলি যেমন চার বটবৃক্ষের অবয়ব হইতে অতিরিক্ত কিছুই না, কেবল তাহারই বিস্তৃতিমাত্র তেমন, অতিবিস্তৃতাকারে পরিণতমাত্র হইতেছে। অতএব আমার এই বিস্তৃতাবয়ব কথার প্রত্যেক কথায় বচন তোলা এককালে অসম্ভব । কিন্তু আমরা মূল কথার প্রত্যেক কথারই প্রমাণ তুলিয়াছি এবং ভবিষ্যতেও তুলিব।