পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । থাকে অন্য কোন প্রাণীতে ইহার কিছুই নাই—এই গুণগুলি আছে বলিয়াই মনুষ্যের মনুষ্যত্ব ; এই গুণরাশি দ্বারাই মনুষ্য অন্য প্রাণী অপেক্ষায় পৃথকৃ, এই গুণসমষ্টি দ্বারাই মনুষ্য শরীর মনুষ্যাকারে পরিণত ; এই গুণরাশি দ্বারাই মনুষ্য অন্য প্রাণী অপেক্ষায় পৃথকৃ, এই গুণগুলি না থাকিলে মনুষ্যের মনুষ্যত্ব থাকে না, এই গুণগুলির হ্রাস হইলেই মনুষ্যত্বের হ্রাস এবং ইহীরই উন্নতি হইলে মনুষ্যত্বের উন্নতি। এ নিমিত্ত এই গুণগুলির নাম মনুষ্যের ‘ধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্মের অবস্থা। উক্ত ধৰ্ম্ম আর অধৰ্ম্মের দ্বিবিধ অবস্থা আছে। এক, বিকাশিত অবস্থা ; আর এক লীন অবস্থা । যখন ইহাদের বিকাশিত অবস্থা ছয়, চরণাদি রূপাভাবানাম্ ক্ষমাদিত্বম অভাবস্যা মুষ্টেয় ত্বা সন্তবাৎ, নবা দেহগুদ্ধি মাত্ৰং শৌচং মনঃগুদ্ধেরেব লক্ষ্যত্বস্য যুক্তত্বাৎ ॥ “ ধৃতিক্ষমাদির ব্যাখ্যায় আমরা কুলুকভট্টের মতে একবাক্য হইতে পারিলাম না । ভক্ট বলেন,—“বৃতি (সন্তোষ) ক্ষমা, (অপকারক ব্যক্তির প্রত্যপকার না করা r দম, (বিষয়সংসর্গসত্ত্বেও মনের বিকার না হওয়া) অস্তেয়, (অন্যায় পূৰ্ব্বক পরধন অপহরণ না করা) শৌচ, (মূৰ্ত্তিকাও জল দ্বারা দেহশোধন ) অক্রোধ, (ক্রোধকারণসত্ত্বেও ক্রোধ না করা )।” আমরা এই অর্থ স্বযুক্তিসঙ্গত মনে করি না। কারণ অবস্থান অর্থের ‘ধ’ ধাতু হইতে উৎপন্ন ধৃতি শব্দের সন্তোষ’ অর্থ নিতান্ত অসংলগ্ন, আবার অপকারক ব্যক্তির প্রত্যপকার না করা অর্থাৎ অপকারক ব্যক্তির প্রত্যপকার করণের অভাবকে ক্ষমা বলিলেন ইহাও নিতান্ত অসম্ভৰ বোধ হয়। কারণ ক্ষমা মনের একটা বৃত্তি হওয়া আবশ্যক উহা মনের একটা বৃত্তিবিশেষ না হইয়া অভাব” পদার্থ হইলে কদাচ অমৃষ্ঠেয় হুটুতে পারে না । ‘দম’ প্রভৃত্তিতেও এই একই দোষ। আবার লনঃগুদ্ধিই যখন সকল শাস্ত্রের ৭একতম মুখ্য উদেশ্য তখন তাহ পরিত্যাগ করিয়া কেবল দেহ ধৌত কাৰে ‘শৌদ্ধ বলাও যুক্তিবিরুদ্ধই বোধ হইল। t