পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ড ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । “আত্মীর ভক্তি, আত্মার সুখ অষ্মার দুঃখ’ ইত্যাদি রূপে ভিন্ন ব্যবহার করা হয়। এই ব্যবহারে ভক্তিবিবেকাদিকে আত্মার আশ্রিত বা আধেয় ভাবে, এবং আত্মাকে উহাদের আশ্রয় বা সাধার ভাবে গণ্য করা হয় । আর যখন ঐসকল শক্তির সমষ্টি ভাবটি লক্ষ্য করা হয়, তখন অtধারাধেয় ভাব বা বিভিন্নতাভাব মনে করা হয় না, তখন হস্তপঙ্কাদির সমষ্টি আর দেহের দ্যায়, ঐ সকল শক্তির সমষ্টি আর আত্মার একতাই মনে হুইয়া থাকে। সুতরাং তখন ভক্তি প্রভৃতি শক্তিকেই জীবাত্মা বলা যাইতে পারে। তখন “আমিই ভক্তি, আমিই সুখ, ইত্যাদি ব্যবহার হইতে পারে। অতএব এইরূপ ভিন্নভিন্ন তবে ভিন্নভিন্ন মতে উক্ত জুই প্রকার ব্যবহারই সঙ্গত ; সুতরাং শাস্ত্রের সহিত অামাজের কোনই বিরোধ হইল না । কেননা ? শাস্ত্রে যে “ আত্মার ভক্তি, আস্থার স্বখ” ইত্যাদি ব্যবহার করিয়াছেন, তাহ; ‘দেহের হস্ত দেহের পদ” ইত্যাদি ব্যবহারের দ্যায় অtধারাধেয় ভােব কল্পনা করিয়া, এবং আমরা যে “আত্মাই ভক্তি, আত্মাই মুখ” ইত্যাদি ব্যবহার করি, তাহাও দেহ ও হস্তপদাদির ন্যায় বাস্তবিক অভিন্নতা মনে করিয়া ; সুতরাং হুই কথাই সঙ্গত । ভক্তি প্রভূতির আধারাধেয় ষোজন । শিষ্য। আপনার পূর্বকথানুসারে বুঝিয়াছি যে, জাত্মার একএকটি শক্তির উত্তেজন কালে, উত্তেজনার পরিমাণামুসারে, অপর শক্তিগুলি পরাভূত বা অপ্রকাশিত অবস্থায় থাকে। তাঁহা হইলে দেহ আর হস্ত পদাদির দৃষ্টান্ত কিরূপে সংযোজিত হইবে তাছা বুঝিলাম না। কারণ দেহের মস্তক এবং হস্তপদাদি সমস্ত গুলি অবয়ব সৰ্ব্বদাই থাকে বলিয়া মস্তকাদি অবয়বের এক একটিকে পৃথকু ভাবে মনে করিলে“দেহের মস্তক, দেহের হস্ত” ইত্যাদি অtধারাধেয় ভাবে ব্যবহার করা সত্তৰে । তথন কেবল ঐ হস্ত খানি বাদে, দেহের মস্তকাদি সমস্ত গুলি অবয়বের সমষ্টিকেই হস্তের আশ্রয় বা আধার ভাবে, এবং কেবল হস্তখানিকে ঐ সমষ্টির আধেয়ভাবে ব্যবহার করা হয়। আবার হস্তাদি সমস্ত অবয়বেয সমষ্টি ভাবটা ○8