পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શહ.] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ২৬৩ নহে, অবস্থাভেদে জীবাত্ম নিজেই ভক্তি, নিজেই দয়া, নিজেই শাত্তি, নিজেই সন্তোষ নিজেই বিবেক, নিজেই বৈরাগ্য, নিজেই ক্রোধ, নিজেই ঈর্ষ্যা, নিজেই শোক, নিজেই সুখ, নিজেই দুঃখ, এবং মোহ ইত্যাদি সমস্তই আত্মা নিজে। এইগুলি সমস্তই জাহ্লবীর জোয়ার ভাটার অবস্থার স্তায় জীবাত্মার এক একটু উলুট পালট বা পরিবর্তন অবস্থা মাত্র । নির্ণয় করা হইয়াছে যে, সুখ, দুঃখ, শোক, হর্ষ, ভক্তি বিবেকাদি সকল প্রকার শক্তিই যখন জীবাত্মা নিজে, তখন ঐ সকল শক্তির আভ্যন্তরিক অনুভব করা, আর আমাদের “আমির” (জীবাত্মার) অনুভব করা ইহা এক কথা । নির্ণয় করা হইয়াছে যে, জ্ঞান বামনুভবাদি নামে কোন প্রকার শক্তি বা গুণ বিশেষ নাই, চৈতন্তের সহিত আমাদের শক্তিগুলির বিমিশ্রণ থাকাতে অন্তরে অস্তরে যে সৰ্ব্বদা একট। প্রকাশ ভাব বিদ্যমান আছে, তাহারই নাম জ্ঞান বা অনুভূতি। নির্ণয় করা হইযাছে যে দেহের মধ্যে যত প্রকার শক্তি, গুণ, ও ভাবের অনুভব হয়, তৎসমস্তই যখন “ আমি ” নিজে, এবং তাহদের অনুভব অীর * আমির ” অনুভব যখন একই কথা, তখন আমরা সৰ্ব্বদা যে সকল শক্তি, গুণ বা ভাবের অন্তরে অস্তরে প্রত্যক্ষ করিতেছি তাহ। আমার নিজকেই অনুভব করিতেছি, অতিরিক্ত,ক্লিছুই অনুভব করিতেস্থি না - ইত্যাদি আরও কত কত বিষয় নিরূপিত হইরাছে। এতৎ সমস্ত বাক্যtালীয় দ্বারা বিশেষরূপে কেবল ইহাই নির্ণয় হইয়াড়ে যে, আমাদের কোন প্রকার জ্ঞান বা অনুভূতি কখনই উৎপন্ন বা বিনষ্ট বা পরিবৰ্ত্তিত, ব। হ্রাস প্রাপ্ত, বা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় না, জীবের জন্মাবধি যে সেই চিরন্তন প্রকাশাত্ম ক অনুভব অtছে, সেই অনুভবই আমাদের মুখ, দুঃখ, শোকাদি রূপে আত্মার এক একটু অবস্থান্তর হইলে, একএকবার গ্রাহ হইয়া থাকে, তদ্ব্যতীত সৰ্ব্বদার জন্য তাহা গ্রহে আইসে নু, তাই ঐ মুখ দুঃখাদিম জ্ঞানকে জন্য এবং বিনষ্ট বলা হইয়া থাকে, এবং সেই যে সহজাত জ্ঞান তাহাও কোন প্রকার গুণ বা শক্তি বা ক্রিয়াদি কিছুই নছে, কেবল একটা প্রকাশ ভাব মাত্র, সুতরাং উহার আধারাধেয়াদিও কিছুই নাই। এই বিষয় প্রমাণীকৃত করার নিমিত্তই