পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షీన్ 0 ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ চতুর্থ জ, ১ পা ১০ স্থ) “অন্তঃকরণেব নিষ্কিয়ত নিবন্ধন বিষয়াকার বৃত্তি সকল নিরুদ্ধ হইয়া গেলে, কেবলমাত্র নিজের স্বরূপের আলম্বনেই যে অস্তঃকৰণের অবস্থিতি তাহার নাম নিদ্র।” এই জন্যই নিদ্রা ভঙ্গের পরে জাগ্রত হইয়। নানাবিধ প্রত্যভিজ্ঞান হইয়া থাকে। র্যহাদের সাত্বিক নিদ্রা, অর্থাৎ নিদ্রাবস্থায় সত্বগুণের অতিশল্য হয় যাহার। “আজি বড় সুখনিদ্রা হইয়াছিল, মনটি যেন প্রসন্ন-প্রসন্ন বোধ হইতেছে"—এইরূপ প্রত্যভিজ্ঞান করিয়া থাকেন। যাহাদের নিদ্রায় রজোগুণের প্রবলত হয়, তাছারা "আজ নিদ্রাতে সুখ পাই নাই, আজ অশান্তি বা দুঃখের ভাবে নিদ্রা গিয়াছিলাম, এখন মনটা যেন অকৰ্ম্মণ্য এবং অতিশয় চঞ্চল বোধ হইতেছে, মনটা যেন ঘূরিতেছে”—ইত্যাদি প্রত্যভিজ্ঞান করে। আর সাহাদের নিদ্রায় তমোগুণের আধিক্য হয়, তাহারা মোহ এ শং গুরুত্ব দি-তমো গুণধৰ্ম্মের প্রত্যভিজ্ঞান করে । নিদ্রীয় কোন উপলব্ধি না থাকিলে; কদাচ এরূপ হইতে পারে না । দ্বিতীয়তঃ, নিদ্রায় অচেতনতা হইলে নিদকে ও সকলে মৃত্যুর দ্যা ভয় করিত। মুছাবস্থায়ও আপনাপন অস্তিত্বের উপলব্ধি থাকে, তাই মুচ্ছৰ্গর পরেও “আমি বিমুগ্ধ হইয়৷ ছিদাম” এইরূপ প্রত্যভিজ্ঞান হয় ; কিন্তু তখন "আমি ছিলাম না” এইরূপ কাঁহারই মনে श्बन। তবে কিনা, মুচ্ছটি। কেবল তমোগুণ হইতেই ছুয়, এজন্য দুছার পরেও শরীর ও মনের মানি, গুরুত্ব ও অলসতাদি পাকে ; সুতরাং কাহারও প্রার্থনীয় হয় না । নিদ্রা ও মুচ্ছদিকে যে অচেতন অবস্থা বলিয়া ব্যবহার করা হয়, তাহ পারিভাষিক। অর্থাৎ সচরাচর বাহ্যজ্ঞান থাকার অবস্থাকেই আমরা “চেতনfবস্থা” ব্যবহার করি, এবং নিদ্রীমুচ্ছ দিতে বাহ্যজ্ঞান থাকে না বলিয়াই তাহাকে অচেতনাবস্থা বলিয়া ব্যবহার করি ; বাস্তবিক তাহা অচেতনাবস্থা নহে। তৎপর জাগ্রৎ অবস্থায়ও কখনই জীবের “অমিত্ব” উপলব্ধি বা চৈতন্যের অভাব ছওয়া পরিদৃষ্ট হয় না। কারণ, যদি ক্ষণকালের জন্যও “আমিত্বে’ উপলব্ধি বা চৈতন্য না থাকে, তবে তৎক্ষণাৎ জীব অচেতন হইয়া মৃৎপিণ্ডের ন্যায় ভূমিসাৎ হইবে ; এবং পুনঃপ্রাপ্ত-চৈতন্য হইলে, "আমি ছিল;ম না” এইরূপ প্রত্যভিজ্ঞান করিবে। . তাহা কিন্তু কাহারও হইতে দেখা যায় না। অতএব চৈতন্য বা “ অমির ” উপলব্ধির অভাব