পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ড ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । Sobo:S সেই প্রকাশ পদার্থটি বা পরমাত্মার যে ঐ রূপ পরিণাম বা পরিবর্তন নাই, তাহার অখণ্ডিত প্রমাণ কি ? আমরা যে সর্বদাই বুদ্ধি, মন প্রভৃতি আন্তঃকরণ বা আমাদের অস্তিত্ব বা “ আমির” অনুভব করিতেছি তাহাই ইহার অব্যর্থ প্রমাণ । ভাবিয়া দেখ, সংসারে এমন কোন লাক্তিই নাই, গে, অস্তুরে অস্তরে অপনাপন অস্তিত্ব বা “অমিঃ” আন্থ ব করিতেছে না ; কি পণ্ডিত, কি মুখ, কি মনুষ্য, কি পশু সকলেই আপনাপন অস্তিত্বে উপলব্ধি করি তেছে, সকলে ই “আমি”টি অন্তরে অন্তরে প্রকাশ পাইতেছে। এই উপলব্ধিট যে সৰ্ব্বদাই আছে, তাহ ও একটু বিবেচনা কৰিলেই বুন। যাইতে পারে। এই উপলব্ধি বা চৈতন্য- যদি ক্ষণকালের নিমিত্তও না থাকিত, তবে তৎক্ষণাং এই মনুষ্যদেহ কাষ্ঠপুত্তলিকার ন্যায় অন্ধ, অচেতন হইত। কিন্তু সেইরূপ অবস্থা কখনই পরিলক্ষিত হয় না ; নিদ্রাবস্থা বা মুছাবস্থায়ও এই উপলব্ধিপ কিছুমাত্র হ্রাস বা অভাব দেখিতে BD DS S DDDD BBBB BB BDDD DBBBBB BBBB B BBBB না থাকিত, তবে কেহই নিদ্রীর প্রার্থনা করিত না, কিম্ব! নিদ্রা না হইলে অনুথ মনে করিত না । বাস্তবিক নিদ্রাবুস্থাতেও আমাদের আমিত্বের অনুভূতি বিলক্ষ থাকে। কিন্তু সে সময়ে অন্তঃকৰণে সহিত কোন প্রকার বিষয়ের সম্বন্ধ থাকে না, এ নিমি স্তু অন্তঃকরণ তপন কোন বিষয়া কারে আকারিত হইতে পার না, স্বতরাং তখন নিজের স্বরূপেই প্রকাশিত হইতে থাকে, নিজের স্বরূপেরই জ্ঞান হয়। কিন্তু আমাদের অন্তঃকরণ কিছু বাহিরের দ্রব্য নহে, সুতরাং বাহিরের কোন দ্রব্যের ভাবে ও উহার জ্ঞান হয় না। এজন্য তখন কি দেখিয়ছিলাম, তাহ নিজেরও পরিস্ফুর্ট ধারণ হয় না, অন্যকেও বর্ণনা করিয়৷ বুঝান যায় ন! । ফল পক্ষে, জাগ্রহ অবস্থা, আর নিদ্রাবস্থার কেবল এই মাত্রই তারতম্য যে, জ (গ্রত অবস্থাতে চিন্ত ৰিস্বয়াকারে আকা. রিত থাকে, আর নিদ্রাবস্থায় কেবল মাত্র নিজের স্বরূপেই অবস্থিতি করে। চিত্তের বিষয়াকারের বৃত্তি গুলি এক এক ট করিয়া নিস্তেজ হইতে হইতে ক্রমে অন্তঃকরণ একবাবে নিদি,য় হইয়। পঢ়িলে, আর কোন প্রকার ক্রিয়াই থাকে না, বিষুরাকারে অ:কার বা বৃত্তিও থাকে না, তাহারই নাম 'নিজ'। ইহাই শাস্ত্রঃ বলিয়ছেন, "অ ভাব প্রত্যয় লম্বনাবৃত্তি নিদ্রা” (পা, vుహ