পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২8 ধৰ্ম্মব্যাখ্যা { [ পঞ্চম প্রত্যাহার। ভগবান পতঞ্জলিদেব বলেন "স্ববিষয়াসম্প্রযোগে চিত্তশু স্বরূপান্থকারইব প্রত্যাহারঃ” ( ২ পা ৫৩ ই ) কোন ইন্দ্রিয়ের যখন কোন বিষয়ের সহিত সম্বন্ধ না থাকে, তখন সমস্ত ইন্দ্রিয়ের অস্থিত্বই যেন মনের অবস্থায় পরিণত হয়, ঈদৃশ অবস্থাকে “প্রত্যাহার" বলে। যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত স্বীয় স্বীয় বিষয়ে ইঞ্জিয়গণের সম্বন্ধ বা গতি বিধি থাকে, ততক্ষণ পৰ্য্যন্ত একাগ্ৰচিত্তে কোন ধ্যান করা যায় না ; সুতরাং ব্যান করিতে হইলেই প্রত্যাহারের অবিশুক। প্রত্যাহার অভ্যস্ত করতে পারিলে ইন্দ্রিয়গণ বর্ণীকৃত হয় ; ইহাও পতঞ্জলিদেব বলিয়াছেন “ততঃপরম বগুতেত্রিয়াণাম’ (২ পা ৫৪ ?) প্রত্যাহারে অভ্যাস হইলে সংযম অর্থাৎ যথাক্রমে "ধারণা” “ধ্যান’ আর "সমাধি” অনুষ্ঠান করিতে হয়, তবেই যোগের অষ্টাঙ্গ পরিপূর্ণ হইল। তন্মধ্যে ধারণ আর ধ্যানের লক্ষণ ও কাৰ্য্যপ্রণালী পূর্বেই বলিয়াছি (১৪৩ পৃ অবধি ) এখন সমাধির বিষয় বলিলেই হইবে সমাধির ও লক্ষণ ও বিভাগাদি বলা হইয়াছে, এখন তাহার ক্রম বলা যাইতেছে। সমাধির ক্রম । পতঞ্জলিদেব বলিয়াছেন “ তন্তভূমিযু বিনিয়োগঃ ” (৩ প ও স্থ)

  • প্রথমেই অতি স্বক্ষ বিষয়ে ধারণা ধ্যান সমাধি বা সংযম করা সত্তবে না। অতএব প্রথমে অপেক্ষাকৃত স্থলাবস্থায় সংযম করিবে. তৎপর কৃতকাৰ্য্য হইলে তদপেক্ষায় স্বাক্ষাবস্থায় সংযম করিতে হয়। এইরূপ নিয়মে ক্রমে ক্রমে স্বল্প বিষয়ে উন্নীত হইতে হয়।” যোগবশিষ্টেও বলিয়ছেন *প্রথমংস্থলমারভ্যশনৈঃ স্বাক্ষংধিয়া নয়েৎ। স্থলে নির্জিতমাত্মানংক্ৰমাৎ হুক্ষ্মে নিবেশয়েৎ II (ইহার অর্থ সরল ) ।

শিষ্য —প্রথম কিসে সংষম করিতে হয় ? আচাৰ্য্য।--বে নিয়মে সমাধির বিভাগ করা হইয়াছে (৩.৯ পৃ ) সেইরূপ পারম্পর্য্য ক্রমেই সমাধির অনুষ্ঠান করিতে হয়। অর্থাৎ প্রথম সবিতর্ক সমাধি, (৩০৯ পৃ ৯ প) তৎপর সবিচার সমাধি, (৩০৯ পৃ ১৫ প) তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হইলে সানঙ্গ সমাধি, (৩০৯ পৃ ২৭,প) তাহাতে কৃতকা)ৰ