পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○シ8 ধৰ্ম্মব্যাখ্য। । , পঞ্চম অস্তিত্বের মধ্যে ভাসিতে থাকিব আর কিছুই দেখিতে পাইবে না। ইহাই চিত্তের তাৎকালিকী অবস্থা । সবি তর্ক সমাধির ফল । অতএব এখন জানা গেল নে “ সবিতর্ক সমাধির ” দ্বারা নিৰ্ব্বত্তিক দেহাত্মজ্ঞান-স্বরূপধৰ্ম্ম ( ৯১ পৃ ১৩ প ) এবং “ ইন্দ্রিয়-প্রাণবৃত্তি নিরোধেয় (৬৬ পৃ ) বিকাশ হয়। নিরোধেয়ু বিকাশ হইলেই ধৃতি ক্ষমা প্রভৃতি ধৰ্ম্মের বিকাশ হয় তাহ পূৰ্ব্বেই (২য় খণ্ডে ) বলিয়াছি। এতদ্ব্যতীত আত্মার যত প্রকার গুস শক্তি আম্বুে, সকলেরই বেগ বুদ্ধি ও বল বৃদ্ধি হইয়া থাকে; অর্থাৎ একান্তরূপে আরোগ্য কামনা করিয়া, যদি যোগী কাহারও মস্তকে হস্তীর্পণ করেন, কিম্বা তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন, অথবা বলবতী ইচ্ছাও করেন, তাহতেই রোগীর রোগ বিদূরিত হয়। আবার নিজ দেহের উপরোও বিলক্ষণ আধিপত্য হয়। কোন রূপ ব্যাধি হইলে ইচ্ছা মাত্রেই তাছাক উপশাস্ত করিতে পারেন ইত্যাদি অারও অনেক ফল পাওয়া যায়। ইয়ার কারণ এপানে বিস্তৃতরূপে বুঝান অবকাশ নাই, তবে সজেপে একটি দৃষ্টাস্ত বুঝিলেই, ইহার কত কটা আভাস পাইতে পরিবে । কোন নদী বা খালের মধ্যে বঁধ দিয়া, তাহার প্রবাহ বন্ধ করিলে, তাহার এক দিকের জল নিতান্ত সিমুন্ধ ও ক্ষীত হইয়৷ সঞ্চিত হইতে থাকে এবং সেই সময়ে ঐ বাধ ছাড়িয়া দিলে স্রোতের বেগ পুৰ্ব্বাপেক্ষ" লক্ষ গুণে অধিকতর হইয়া থাকে, ইহা বোধ হয় অবশ্যই অবগত তাছ, এখানেও সেই রূপই জানিবে । আত্মার শক্তি সৰ্ব্বদাই লক্ষ লক্ষ শিরা দ্বারা লক্ষ লক্ষ ধারে বাহিরের দিকে বহিয়া যাইতেছে । কিন্তু তাঁহাকে যদি সংযমের বাধে নিরুদ্ধ করিয়া রাখা যায়, তবে সুতরাংই অভ্যস্তর প্রদেশে তাঃার স্ফীতত বা উপচয় হয়। অতএব তখন যদি কোন সময়ে কোন কাৰ্ঘ্যের নিমিত্ত তাঁহাকে ছাড়িয় দেওয়া যায়, তবে সে পুৰ্ব্বাপেক্ষায় অত্যন্ত বেগশালিনী হইয়। কাৰ্য্য সাধন করে। এমন কি তখন উপচিকীর্ষ। প্রভৃতি সং প্রবৃত্তির বাধ না ছাড়িয়া, যদি ক্রোধাদি কুপ্রবৃত্তির বাধগুলি ছোটে, তাছাতেও ভয়াবহ কাৰ্য্যই ই: । অতএব সাবধান। যোগিন্‌!