পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ পঞ্চম سیاه (نی কর দ্বার স্পর্শ করিলে, কেবল ইহার কাঠিন্যাদি গুণই উপলব্ধি করিতে পার, ইহাকে রসনায় সংলগ্ন করিলে, ইহার তিক্তাস্লাদি রসেরই অনুভব করিতে পার, এবং নাসিকার নিকট লইলে ইহার গন্ধ গুণটি মাত্রই বুঝিবে। এতদ্ব্যতীত জার কিছুই বুঝিতে পার কি ? কখনই না। অতএব দ্রব্যের স্বরূপাবস্থা, সমস্ত ইজ্ঞিয়েরই অগোচর ; ইহাই ভৌতিক পদার্থের দ্বিতীয় অবস্থা বা দ্বিতীয় রূপ। শাস্ত্রেও উহাকেই স্বরূপাবস্থা বলিয়াছেন,— গুরুদেব বেদব্যাস বলেন,—“দ্বিতীয়ং রূপং ? স্বসীমান্তং মুর্তি ভূমি, স্নেহেজেলং ৰহিব্রুকতা, বায়ুঃপ্রণামী, সৰ্ব্বতে গতিরাকাশ, ইত্যেতং স্বরূপ শব্দে নেচ্যতে” (প, দ, ও প। ৪০ হু, ভাঃ ) অর্থ—ভূত ভৌতিক পদার্থের, দ্বিতীয় রূপ কোন বিশেষণের ছার বিশেষিত করিয়া বলার উপায় নাই ; কারণ গুণ ক্রিয়ার দ্বারাই বস্তুর নির্দেশ করা iয'য়। কিন্ত সমস্ত গুণ ক্রিয়। বাদ দিয়া যে অবস্থা থাকে, তাহই ভৌতিক পদার্থের দ্বিতীয়বস্থা। এই অবস্থার নামই ভৌতিক পদার্থের স্বরূপ ( ভtধার্থ) ’ এই দ্বিতীয়াবস্থা বা স্বরূপাৰস্থা আমাদের দেহীয় ভৌতিক পদার্থেরও আছে, সেই অবস্থার অনুভূতি হওয়াই সবিতর্ক সমাধির দ্বিতীয়াবস্থা। পরস্ত প্রথমাৰস্থা হইতে এই দ্বিতীয়াবস্থায় যাইবার নিমিত্ত আর বিশেষ কোন শিক্ষার প্রয়োজন হয় না । শাস্ত্র বলেন “যোগেন যোগোজ্ঞাতব্যে যোগে যোগtৎ প্রবর্ততে। যোগ্ৰমত্তস্ত যোগেন সযোগে রমতে চিরং ।” যোগের এক করে উঠিতে পারিলেই, তাঙ্গর উপরি তলস্তর আপনেই । বুঝিতে পারা যায, এবং অtপনেই নীচ স্তর হইতে উপরিস্থ স্তরে অtরোহণ করা যায় ।” দৈহিক ভূতের ভুলাবস্থাতে সমাধির অভ্যাস করিতে করিতে, চিত্তের নিরোধ শক্তি যখন আরও প্রবলা হইয়া উঠে, এবং সত্ত্বশক্তির আরও বৃদ্ধি হইয়া চিভের নিৰ্ম্মলতাও বৃদ্ধি পায়, সুতরাং তখন ভৌতিক পদার্থের স্বরূপাবস্থা কিছু কিছু অনুভূত হইতে থাকে। এবং স্থলাবস্থাটা ক্রমে ক্রমে চিত্ত হইতে অন্তহৃত হইতে আরম্ভ হয়। কারণ স্থলাবস্থায় একাগ্রতা কালে চিত্তের যে অবস্থা হয়, তাহা আমাদের জাগ্রদবন্ধ হইতে নিন্ধিয় বা নিরুদ্ধাব স্থা হইলেও, উহা একবারে নিরুদ্ধাজন্ম নহে, কারণ ঐ সময়ে যখন ভৌতিক পদার্থের স্থলাবস্থার, অর্থাৎ ক্রিয়া